Trina Saha : সাদা চাদরে মোড়া দেহ, চন্দন আর রজনীর মালার সাজ! এ কী হল তৃণার
অন্তিম যাত্রায় 'গুনগুন'। সিঁথিতে সিঁদুর, গলায় মালা, চন্দনে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সামনে বসে আকুল নয়নে কাঁদছে বাবিন। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ধারাবাহিকের অন্যান্য চরিত্ররাও। ধারাবাহিকের শেষবেলায় এভাবে 'গুনগুন'কে দেখতে হবে ভাবতেও পারেননি বাংলার টেলি পর্দার দর্শকরা। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে 'খুড়কুটো' ধারাবাহিকের এই দৃশ্য। যা দেখে একপ্রকার কেঁদে ভাসাচ্ছেন দর্শকরা। উঠে আসছে নানান মন্তব্য। কারোর প্রশ্ন, এভাবে গুনগুনকে কেন মেরে ফেলতে হল? কেউ লিখেছেন, 'ধারাবাহিকের এমন পরিণতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। বড়ই মর্মাহত।'
Trina Saha, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অন্তিম যাত্রায় 'গুনগুন'। সিঁথিতে সিঁদুর, গলায় মালা, চন্দনে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। সামনে বসে আকুল নয়নে কাঁদছে বাবিন। সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ধারাবাহিকের অন্যান্য চরিত্ররাও। ধারাবাহিকের শেষবেলায় এভাবে 'গুনগুন'কে দেখতে হবে ভাবতেও পারেননি বাংলার টেলি পর্দার দর্শকরা। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে 'খুড়কুটো' ধারাবাহিকের এই দৃশ্য। যা দেখে একপ্রকার কেঁদে ভাসাচ্ছেন দর্শকরা। উঠে আসছে নানান মন্তব্য। কারোর প্রশ্ন, এভাবে গুনগুনকে কেন মেরে ফেলতে হল? কেউ লিখেছেন, 'ধারাবাহিকের এমন পরিণতি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। বড়ই মর্মাহত।'
সম্প্রতি সম্প্রচারিত হওয়া 'খড়কুটো' ধারাবাহিকের পর্বে দেখা গিয়েছে, ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিলেন 'গুনগুন'। অস্ত্রোপচার করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। স্ট্রেচারে শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সাদা চাদরে মোড়া তাঁর দেহ। আর তা দেখেই চোখে জল দর্শকদের। 'খড়কুটো' ধারাবাহিক এভাবে শেষ হয়ে যাওয়া এবং তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের খারাপ লাগা প্রসঙ্গে Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফে পরিচালক লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, খড়কুটো শেষ হয়ে যাচ্ছে। তবে ফেসবুকে এটা নিয়ে কী লেখেলিখি হচ্ছে তা আমি দেখিনি, কারণ ফেসবুক ফলো করি না। তবে লেখক যেভাবে লেখেন, গল্প সেভাবেই এগোয় এবং শেষ হয়। হ্যাঁ, গুনগুনের মৃত্যু হয়ত অনেককে কষ্ট দিয়েছে। তবে বলব শেষ পর্যন্ত দেখুন, নিশ্চয় টুইস্ট আছে। আগামী রবিবার খড়কুটোর শেষ পর্ব সম্প্রচারিত হবে।'
আরও পড়ুন-'দুর্গাপুজোয় কলকাতায় আসতে চাই', জন্মাষ্টমীর সকালে কালীঘাটে এসে বললেন তাপসী
এবিষয়ে 'খড়কুটো'র গুনগুন অর্থাৎ অভিনেত্রী তৃণা সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমি দর্শকদের বলব, যেটা সম্প্রচারিত হয়েছে, সেটা শেষপর্ব নয়, তাই অনুরোধ দয়া করে ধারাবাহিকের শেষপর্ব পর্যন্ত অপেক্ষা করে যান। শেষ পর্ব দেখলে হয়ত এই মন খারাপ কিছুটা মিটে যাবে। তবে এটা আমাদেরও বড় পাওনা দর্শক গুনগুনের সঙ্গে এই ধারাবাহিকের সঙ্গে এতটাই নিজেদের জুড়ে ফেলেছেন, যে গুনগুনের মৃত্যুতে তাঁদের খারাপ লাগছে। তবে যিনি গল্প লিখেছেন, তিনি তো কিছু ভেবেই লিখেছেন। আজ গুনগুনের মৃত্যুতে দর্শকদের খারাপ লাগছে, তবে যদি গুনগুন বেঁচে যেত, তাহলেও হয়ত প্রশ্ন উঠত ব্রেন টিউমারের রোগী কীভাবে বাঁচল?' ধারাবাহিক শেষ হওয়ায় তাঁর কতটা খারাপ লাগছে? এ প্রশ্নে তৃণা বলেন, 'কিছু কিছু প্রোজেক্টের সঙ্গে ব্য়ক্তিগত ইমোশন জুড়ে যায়। খড়কুটোও তেমনই একটা ধারাবাহিক। শেষ কিছুদিন ধরে ধারাবাহিকের চরিত্রগুলির যে কান্নাকাটি দেখা যাচ্ছে, সেগুলোতে কিন্তু গ্লিসারিন ব্য়বহার করতে হয়নি। এমনিই চোখে জল এসে যাচ্ছিল সবার।'
আরও পড়ুন-'তাপসীর থেকে আমারই স্তন বড়!' বিস্ফোরক অনুরাগ কাশ্যপ...
প্রসঙ্গত, ২০২০-র অগস্টে শুরু হয়েছিল 'খড়কুটো' ধারাবাহিক। অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল এই ধারাবাহিক। 'গুনগুন', বাবিন, 'পটকা' সহ অন্যান্য সব চরিত্রগুলোই দর্শকদের ভালোবাসা কুড়িয়েছিল। গুনগুন আর বাবিনের প্রেম, ঝগড়া, খুনসুটি দর্শকদের মনে গেঁথে গিয়েছিল। তবে প্রথমদিকে TRP-র শীর্ষ থাকা এই ধারাবাহিক বেশকিছুদিন ধরেই TRP তালিকার নিচের দিকে নামতে থাকে। আর সেকারণেই দুপুরের স্লটে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এই ধারাবাহিককে। আর তাই হয়ত এবার 'খড়কুটো' শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ধারাবাহিকের নির্মাতারা।