Essential Medicines: মহার্ঘ হতে চলেছে ৮০০টি জীবনদায়ী ওষুধ, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের
প্রায় ৮০০টি ওষুধের দাম এপ্রিল থেকেই বাড়বে। মধ্যবিত্তের পকেটে টান।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জ্বালানি থেকে জিনিসপত্রের দাম, সবেতেই মূল্যবৃদ্ধির ছোঁয়া। এবার দাম বাড়তে চলেছে বেশ কয়েকশো জীবনদায়ী ওষুধেরও। শুক্রবার ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যালস প্রাইসিং অথরিটি অফ ইন্ডিয়া পাইকারি মূল্য সূচকে (WPI) প্রায় ১০.৭ শতাংশ দাম বৃদ্ধি ও দাম পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছে। এর অর্থ অপরিহার্য ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি। প্রায় ৮০০টি ওষুধের দাম এপ্রিল থেকেই বাড়বে পূর্বোক্ত হারে।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের অর্থনৈতিক উপদেষ্টার কার্যালয়ের তরফে WPI ডেটার উপর ভিত্তি করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মতো ১০.৭৬৬০৭ শতাংশ বাড়তে চলেছে দাম। এর ফলে জ্বর, সংক্রমণ, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, চর্মরোগ ও রক্তশূন্যতার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের দাম বাড়বে। এর মধ্যে প্যারাসিটামল, ফেনোবারবিটোন, ফেনিটোইন সোডিয়াম, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন হাইড্রোক্লোরাইড এবং মেট্রোনিডাজলের মতো ওষুধ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে যে ড্রাগস প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার, ২০১৩ অনুসারে এই পদক্ষেপের কথা সর্বজনীনভাবে সকলকে জানান হয়েছে। এমনিতেই এই ওষুধগুলির দাম অনেকটাই বেশি সাধারণের তুলনায়। তার ওপর নতুন করে আবার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চাপ বাড়াবে মধ্যবিত্তের, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই ওষুধ তৈরির সংস্থাগুলি লাগাতার ওষুধের দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিল।
এদিকে ভোট মিটতে ফের ঊর্ধ্বগামী জ্বালানির মূল্য। গত কয়েক দিনে লিটার প্রতি পেট্রল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে লাফিয়ে। জ্বালানির দাম বৃদ্ধিতে জেরবার সাধারণ মানুষ। এরপর এই ধরনের মূল্যবৃদ্ধির ঠেলায় চাপ বাড়বে আম জনতার এমনটাই মত।
আরও পড়ুন, Summer Cold: হাঁচছেন? কী করে বুঝবেন, এটা সাধারণ সর্দিগর্মি নাকি করোনা সংক্রমণ?