গর্ভাবস্থায় হাইপারটেশনের সমস্যার মোকাবিলায় কয়েকটি জরুরি পরামর্শ
গর্ভাবস্থায় হাইপারটেশনের সমস্যায় কী করবেন আর কী করবেন না, তা সবিস্তারে জানাচ্ছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ সুতপা সেন।
সুদীপ দে: বেশিরভাগ গর্ভবতী মহিলারা হাইপারটেশনে ভোগেন। গর্ভবতী হওয়ার আগে থেকেই হাইপারটেনশনের সমস্যায় ভোগেন অনেক মহিলাই। কিন্তু দেখা গেছে গর্ভবতী হওয়ার পর হাইপারটেনশনের সমস্যা অনেকের শরীরে শুরু হয়।
গর্ভবতী হওয়ার ২০ সপ্তাহ আগে যদি হাইপারটেনশান ধরা পড়ে তাহলে তাকে ‘এসেন্সিয়াল হাইপারটেনশন’ বলা হয়। কিন্তু গর্ভবতী হওয়ার পর যদি হাইপারটেনশন ধরা পড়ে তাকে ‘প্রেগনেন্সি ইন্ডিউজড হাইপারটেনশন’ বলা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় রোজ হাইপারটেনশন কমানোর ওষুধ খাওয়া কখনই উচিত নয়। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে তবেই ওষুধ খাওয়া উচিত। পাঠকদের জন্য গর্ভাবস্থায় হাইপারটেশনের সমস্যায় কী করবেন আর কী করবেন না, তা সবিস্তারে জানাচ্ছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডঃ সুতপা সেন।
কি করা উচিত?
গর্ভাবস্থায় হাইপারটেশনের সমস্যা দেখা দিলে, চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আপনার যদি আগে থেকেই হাইপারটেনশন থাকে তাহলে তা-ও চিকিত্সকে জানান। তিনি যদি মনে করেন তাহলে আপনার ওষুধ বদলে দেবেন। এ ছাড়া গর্ভাবস্থায় চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তচাপ পরীক্ষা করান। ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত মাসে একবার করে চেক করুন। এর পর ২৮ থেকে ৩৬ সপ্তাহের মধ্যে মাসে ২ বার করে চেক করুন।
কী দেখে বুঝবেন আপনি হাইপারটেনশনের শিকার?
গর্ভাবস্থায় হাইপারটেশনের সমস্যা থাকলে অনেক রকম লক্ষণ দেখা যায়, যার থেকে বোঝা যায় আপনি হাইপারটেশনের শিকার। এই সময় পা ফুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যখন দেখবেন যে আপনার পা ফোলা কোনও ভাবেই কমছে না তখন চিকিত্সকের পরামর্শ নিতে একদম ভুলবেন না। অনেকেই পা ফুলে যাওয়াকে অগ্রাহ্য করেন। ভাবেন এটা হয়তো স্বাভাবিক ব্যাপার। এ ছাড়া মাথা ব্যথা, পেটে ব্যথা এবং দৃষ্টি শক্তি কমে যাওয়ার সমস্যাও এই রোগের লক্ষণ।
হাইপারটেনশনের প্রতিকার কী ভাবে করবেন?
হাইপারটেশনের শিকার হলে চিকিত্সক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে খাবার খান। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী, রক্তচাপ, হাইপারটেশনের ওষুধ খান। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলুন।