খুসকি মুক্ত সুন্দর চুল পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায়

শীতকাল মানেই খুসকির সমস্যায় কম বেশি ভোগেন সকলেই। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে খুসকির ট্রিটমেন্ট করা খুবই অর্থ সাপেক্ষ হয়ে ওঠে। এছাড়া ওই ট্রিটমেন্ট যথেষ্ট সময় সাপেক্ষও বটে। যারা ট্রিটমেন্ট করাতে সক্ষম শীতের আমেজ এলেই তারা শুরু করে দায় তাদের ট্রিটমেন্ট। কিন্তু অত দাম দিয়ে ট্রিটমেন্ট না করে অতি সহজেই ঘরোয়া উপায়ে মেটানো যায় এই সমস্যা। এবার এক ঝলকে দেখে নিন খুসকি সারানোর কিছু ঘরোয়া টিপসগুলিকে...

Updated By: Dec 7, 2015, 07:10 PM IST
খুসকি মুক্ত সুন্দর চুল পাওয়ার কিছু ঘরোয়া উপায়

ওয়েব ডেস্ক: শীতকাল মানেই খুসকির সমস্যায় কম বেশি ভোগেন সকলেই। কিন্তু সব সময় পার্লারে গিয়ে খুসকির ট্রিটমেন্ট করা খুবই অর্থ সাপেক্ষ হয়ে ওঠে। এছাড়া ওই ট্রিটমেন্ট যথেষ্ট সময় সাপেক্ষও বটে। যারা ট্রিটমেন্ট করাতে সক্ষম শীতের আমেজ এলেই তারা শুরু করে দায় তাদের ট্রিটমেন্ট। কিন্তু অত দাম দিয়ে ট্রিটমেন্ট না করে অতি সহজেই ঘরোয়া উপায়ে মেটানো যায় এই সমস্যা। এবার এক ঝলকে দেখে নিন খুসকি সারানোর কিছু ঘরোয়া টিপসগুলিকে...

১. নিমের লিকার
নিম পাতা জলের মধ্যে দিয়ে তা ফোটাতে হবে। তারপর জলটিকে ছেঁকে নিয়ে ঠান্ডা করতে দিতে হবে। এরপর মাথার ওপরে ওই লিকারটিকে ঢেলে আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করতে হবে। সপ্তাহে দু থেকে তিন দিন এটি করার ফলে খুসকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এছাড়া এই মিশ্রণটি স্কাল্পের অন্যান্য সমস্যা যেমন, মাথায় ব্রণ হওয়া, চুলকানি এবং চুল পড়ার সমস্যা দূর করে থাকে।

২. নারকেল তেল
নারকেল তেল মাথায় ফাঙ্গাসের সমস্যা দূর করে দেয়, যার থেকে ড্যানড্রাফ মুক্ত হয় মাথা। এছাড়া এটি রুক্ষ স্ক্যাল্পকে ময়েশ্চারাইজ করে যা চুলকানির হাত থেকে রক্ষা করে। নারকেল তেলের মধ্যে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ম্যাসেজ করতে হবে। ম্যাসেজ করার ২০ মিনিট পর তা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২বার ব্যবহার করলেই ফল বুঝতে পারবেন।

৩. বেকিং সোডা
খুসকির সমস্যা রুখতে বেকিং সোডা অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন। এই সোডা মাথার মরা কোষগুলিকে দূর করে এবং অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এছারা মাথার পিএইচ লেভেলও ঠিক রাখতে সাহায্য করে এই সোডা। ভিজে চুলে এই সোডা লাগাতে হবে। তারপর একটু গরম জল নিয়ে ২ মিনিট মাথায় ম্যাসেজ করতে হবে। ম্যাসেজ করার পর শ্যাম্পু কিন্তু একদমই করবেন না।

৪. সাদা ভিনিগার
সাদা ভিনিগার ফাঙ্গাস কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া ভিনিগার চুলকানি কমিয়ে চুল পড়াও কমাতে সক্ষম। দুকাপ জলের মধ্যে হাফ কাপ ভিনিগার নিয়ে শ্যাম্পু করার পর তা মাথায় লাগাতে হবে। কিংবা মাথায় ম্যাসাজ করার পর কোনও মাইল্ড শ্যাম্পুও লাগাতে পারেন।

৫. অলিভ ওয়েল
সামান্য পরিমাণ অলিভ ওয়েল গরম করে নিন। তারপর তা মাথায় ম্যাসেজ করুন। এরপর একটি তোয়ালে মাথাতে জড়িয়ে রাখুন। এভাবে ৪৫ মিনিট রাখার পর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশানার দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার করে ব্যবহার করতেই পারেন অলিভ ওয়েল।

৬. মেথি
দু-তিন চামচ মেথি নিয়ে সারা রাত তা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সকালে তা বেটে নিয়ে তাতে সামান্য পরিমাণ টক দই মেশান। তারপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন মাথা। সপ্তাহে দু-তিন দিন ব্যবহার করার ফলে হাতে নাতে ফল পাবেন।

৭. চা গাছের তেল
শ্যাম্পুর মধ্যে দু-তিন ফোঁটা চা গাছের তেল মিশিয়ে নিতে হবে। এছাড়া এই তেল আপনার রোজকার মাথায় মাখার তেলের মধ্যে মিশিয়ে নিয়েও মাখতে পারেন। তারপর ওই তেল চুলে লাগিয়ে সারা তার রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুসকির সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে।

৮. অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা জেল মাথায় লাগাতে পারেন। এটি খুসকির সমস্যা দূর করে চুল বেড়ে উঠতে সাহায্য করে।  

 

.