বিশেষ পেইনলেস সূচ তৈরি করল IIT খড়গপুর! কোনও ইনজেকশনেই আর থাকবে না ব্যথার ভয়

গবেষকদের মতে, শুধু করোনা টিকার ক্ষেত্রেই নয়, যে কোনও ইনজেকশন দেওয়াকেই ‘পেইনলেস’ করতে পারবে বিশেষ এই ‘মাইক্রো নিডল’।

Edited By: সুদীপ দে | Updated By: Sep 1, 2020, 08:15 PM IST
বিশেষ পেইনলেস সূচ তৈরি করল IIT খড়গপুর! কোনও ইনজেকশনেই আর থাকবে না ব্যথার ভয়
—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন: ইনজেকশন নিয়ে ভয় পান অনেকেই! এই ভয়টা মূলত সূচ ফোটানোর ভয় বা সূচ ফোটানোয় ব্যথা লাগার ভয়। তবে এই ভয় পাওয়ার দিন এ বার ফুরোতে চলল। কারণ, ইতিমধ্যেই পেইনলেস ইনজেকশন দেওয়ার উপযুক্ত ‘নিডল’ বা সূচ আবিষ্কার করেছে IIT খড়গপুরের ইলেকট্রনিক ও ইলেট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষকরা।

IIT খড়গপুরের ইলেকট্রনিক ও ইলেট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক অধ্যাপক তরুণকান্তি ভট্টাচার্য ও তাঁর সহকারী দল এমন ‘মাইক্রো নিডল’ তৈরি করেছেন যার মাধ্যমে সূচ ফোটানোর যন্ত্রণা ছাড়াই ইনজেকশন দেওয়া সম্ভব।

ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিন বা এমন আরও অনেক শারীরিক সমস্যায় রোগীকে ইনজেকশনের উপরেই ভরসা রাখতে হয়। সে ক্ষেত্রে সূচ ফোটানোর ভয় থাকলেও কিছু করার থাকে না। কিন্তু এ বার এই ব্যথা এড়িয়েও ইনজেকশন নেওয়া যাবে। করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও এই ‘মাইক্রো নিডল’ অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে। শুধু করোনা টিকার ক্ষেত্রেই নয়, যে কোনও টিকা নেওয়াকেই ‘পেইনলেস’ করতে পারবে এই ‘মাইক্রো নিডল’।

IIT খড়গপুরের গবেষকরা জানান, তাঁদের তৈরি এই সূচ শুধু আকারেই ছোট নয়, ইনজেকশন দেওয়ার প্রচলিত সূচের চেয়ে অনেকটাই সরু। তবে শরীরে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ‘মাইক্রো নিডল’-এর ক্ষমতা প্রচলিত ইনজেকশনের সূচের মতোই সমান।

আরও পড়ুন: ইনজেকশনে ভয়! ‘নাজাল ভ্যাকসিন’ তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা! নাকে স্প্রে করেও নেওয়া যাবে করোনার টিকা!

এই ‘মাইক্রো নিডল’ আসলে অনেকটা ব্যান্ডেডের মতো। এটিকে ত্বকের উপর জড়িয়ে দিলেই ইনজেকশনের ওষুধ শরীরের ভিতরে চলে যাবে। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই পদ্ধতিকে ‘ট্রান্স ডার্মাল ড্রাগ ডেলিভারি সিস্টেম’ (TDDS) বলা হয়। ব্যান্ডেডের মতো এই মাইক্রো নিডলে প্রায় ১০০টি অতি সূক্ষ্ম সূচ রয়েছে। ফলে সংজ্ঞাবহ স্নায়ুতন্তুকে না ছুঁয়েই  ইনজেকশনের ওষুধ শরীরে প্রবেশ করাতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে ব্যথাও হয় না। সম্প্রতি মাইক্রো নিডল নিয়ে এই গবেষণাটি ‘নেচার’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এখনও এটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। মানব দেহে এর ট্রায়াল সফল হলেই এটি বাজারে ছাড়ার কথা ভাবা হবে।

.