রোগকে কাঁচকলা দেখাতে রোজ ‘দলিয়া খান কদলী’
গবেষকরা বলছেন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করতে শরীরে পটাসিয়ামের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়াও দেহে পটাসিয়ামের আদর্শ উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকি
নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়স বাড়ছে। কমজোরি হচ্ছে পেশি। জোর কমছে হার্টেরও। কারণ পটাসিয়ামের ঘাটতি। তবে উপায়? কলা খান। হাতেনাতে পাবেন ফল। আমসত্ত্ব দুধে ফেলি তাহাতে কদলী দলি, সন্দেশ মাখিয়া লয়ে তাতে, হাপুস হুপুস শব্দ চারদিক নিস্তব্ধ, পিপীলিকা কাঁদিয়া যায় পাতে… পিঁপড়ে পর্যন্ত এই স্বাদ পেতে ব্যাকুল। কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। এমনই কামাল কলার।
আরও পড়ুন- জড়িয়ে ধরাই পেশা, মাসে লক্ষাধিক আয় এই মহিলার
গবেষকরা বলছেন, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করতে শরীরে পটাসিয়ামের উপস্থিতি অত্যন্ত জরুরি। এ ছাড়াও দেহে পটাসিয়ামের আদর্শ উপস্থিতি নিশ্চিত করা গেলে কমে যায় স্ট্রোকের ঝুঁকি। আর এই উপকারী পটাসিয়াম কলায় আছে প্রচুর পরিমাণে। গবেষকরা দেখেছেন, একটি কলায় প্রায় ৫০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে। আর শরীরে প্রতিদিন ১৬০০ মিলিগ্রাম পটাসিয়ামের জোগান দেওয়া গেলেই স্ট্রোকের হাত থেকে বছরে বেঁচে যেতে পারে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ।
আরও পড়ুন- ইউরিন ইনফেকশনের লক্ষণগুলি চিনে নিন, জেনে নিন ঘরোয়া প্রতিকার
খনার বচনে আছে, কলা রুয়ে না কেটো পাত তাতেই কাপড়, তাতেই ভাত। বার্মিংহামের ইউনিভার্সিটি অফ আলাবামার গবেষকদের দাবি, কিডনির রোগ প্রতিরোধে পাকা কলার জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়াও অবসাদ থেকে মুক্তি দিতে পারে নিয়মিত একটি করে কলা। কোষ্ঠকাঠিন্য, অ্যানিমিয়া, স্নায়ুর রোগ, আলসারের সমস্যায় কলা খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপান ছাড়তে বেশি করে কলা খান।