ক্যুইক বিজনেস লোন: আবেদনের আগে জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধার দিকগুলি! - IIFL




ক্যুইক বিজনেস লোন: আবেদনের আগে জেনে নিন সুবিধা ও অসুবিধার দিকগুলি!

Written by Web Desk Team | Published :May 23, 2023 , 6:13 am IST

দ্রুত ধাবমান বাণিজ্য-বিশ্বে দ্রুত অর্থায়ন যে কোনও ব্যবসার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। উদ্যোগপতি এবং ব্যবসায়ীদের অনেক সময়ই দ্রুত অর্থের প্রয়োজন হয়, ব্যবসা সম্প্রসারণ বা অন্য কোনও কারণে। সেসময় এই ধরনের ঋণ দ্রুত অর্থায়নে সাহায্য করতে পারে। তবে এই ধরনের ‘ক্যুইক বিজনেস লোন’ নেওয়ার আগে সম্পূর্ণ সচেতন থাকা প্রয়োজন।

বাণিজ্য ঋণের সুবিধা:

দ্রুত অনুমোদন—
‘ক্যুইক বিজনেস লোন’-এর অন্যতম সুবিধা হল এটি খুব দ্রুত অনুমোদন পায় এবং টাকা হাতে চলে আসে। সাধারণ ঋণের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই অনেকটা সময় লেগে যায়, যা সঠিক সময় ব্যবসায়িক সুযোগ গ্রহণের প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে। ‘ক্যুইক বিজনেস লোন’-এর ক্ষেত্রে আবেদন প্রক্রিয়া সুবিন্যস্ত রাখা হয় যা কয়েক দিন, এমনকী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে টাকা পেতে সাহায্য করে।

দ্রুত অর্থপ্রাপ্তি—
সারা বিশ্বেই বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অন্যতম সমস্যা হল হাতে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা। জরুরি অবস্থায় দ্রুত হাতে টাকা না এলে ব্যবসার জন্য তা জটিল পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তা সে ব্যবসা বৃদ্ধিই হোক বা অর্থপ্রবাহ জারি রাখা বা অপ্রত্যাশিত কোনও খরচ— ক্যুইক বিজনেস লোন জরুরি অর্থের প্রবাহ জারি রেখে কাজের গতি অব্যহত রাখতে পারে।

ব্যবহারিক নমনীয়তা—
কোন কাজে ব্যবহার করা হবে তা না দেখেই ক্যুইক বিজনেস লোন দেওয়া হয়। সাধারণত, ঋণ গ্রহণের সময়ে উদ্দেশ্য জানাতে হয়। কিন্তু ক্যুইক বিজনেস লোনের ক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণের পর অর্থ কোন কাজে লাগানো হবে তা নির্ধারণ করার স্বাধীনতা গ্রহীতার থাকে। তা সে ইনভেনটরি ক্রয় হোক বা কর্মক্ষেত্রের আয়তন বৃদ্ধি, ঋণের অর্থ প্রয়োজন মতো ব্যবহার করার অধিকার থাকে।

সহজ আবেদন প্রক্রিয়া—
ক্যুইক বিজনেস লোন পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদন করার পদ্ধতিটি বেশ সহজ সরল। অনেক ঋণদাতা সংস্থা অনলাইন আবেদনও গ্রহণ করে থাকে, যাতে দীর্ঘসূত্রী কাগজের কাজ করার প্রয়োজন হয় না। ফলে কয়েক মিনিটেই কাজ সারা হয়ে যেতে পারে। আবেদনকারীও অযথা ঋণের আবেদনের জন্য সময় ও শক্তি খরচ না করে ব্যবসায় মন দিতে পারেন। IIFL Finance-এর তরফে WhatsApp-এর মাধ্যমেও ক্যুইক বিজনেস লোন দেওয়া হয়ে থাকে।

অসুবিধা:

উচ্চ সুদের হার—
দ্রুত ও সহজ ঋণ পাওয়ার জন্য অনেক সময়ই উচ্চ হারে সুদ গুণতে হয়। এই ধরনের ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার বেশি হয়ে থাকে। তাই ঋণ নেওয়ার আগেই সুদের হার এবং সংশ্লিষ্ট অন্য খরচ সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার, যাতে তা নিজের ব্যবসার জন্য আদৌ সঠিক কি না তা বোঝা যায়।

পরিশোধের মেয়াদ—
সাধারণত ক্যুইক বিজনেস লোন শোধ করার মেয়াদ কম হয়ে থাকে। ব্যবসায়িক প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে অর্থের জোগান এলেও সার্বিক অর্থপ্রবাহে এর কুপ্রভাব পড়তে পারে।

সিভিল স্কোরে প্রভাব—
ক্যুইক বিজনেস লোন নেওয়ার সময় ক্রেডিট যাচাইয়ের উপর ততটা জোর দেওয়া হয় না। কিন্তু কোনও ভাবে ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে ক্রেডিট স্কোরের উপরে।