বাড়ি থেকে পালানোর অ্যাডভ্যাঞ্চারে ধাক্কা রূঢ় বাস্তবে

বাড়ি থেকে নয়। স্কুল থেকে পালিয়ে সোজা শিয়ালদা স্টেশন। ইচ্ছে ছিল, চড়ে বসবে দার্জিলিংয়ের কোনও ট্রেনে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে স্টেশনেই হাজির হয় বাড়ির লোক। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেহালা থানায়। শেষ পর্যন্ত দার্জিলিং যাওয়া হল না বেহালার বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র  দেবব্রত কুমার ও তন্ময় হালদারের।

Updated By: Jul 24, 2013, 11:00 AM IST

বাড়ি থেকে নয়। স্কুল থেকে পালিয়ে সোজা শিয়ালদা স্টেশন। ইচ্ছে ছিল, চড়ে বসবে দার্জিলিংয়ের কোনও ট্রেনে। কিন্তু সে গুড়ে বালি। পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে স্টেশনেই হাজির হয় বাড়ির লোক। উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বেহালা থানায়। শেষ পর্যন্ত দার্জিলিং যাওয়া হল না বেহালার বেসরকারি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র  দেবব্রত কুমার ও তন্ময় হালদারের।
প্রতিদিনের মত মঙ্গলবারও পুলকার চালকের সঙ্গে স্কুল থেকে বেরিয়েছিল ক্লাস ফাইভের তন্ময় আর দেবব্রত। কিন্তু পুলকারে বাকি ছাত্র-ছাত্রীরা উঠলেও হঠাত্‍-ই উধাও বেহালার বেসরকারি স্কুলের দুই ছাত্র।  
  
শুরু হল খোঁজ খোঁজ। কিন্তু দেখা নেই দুই ছাত্রের। কিছুক্ষণ পরেই বেহালা থানার দ্বারস্থ হন উদ্বিগ্ন দুই পরিবারের সদস্যরা। শুরু হয় তল্লাশি। কলকাতার বাসস্ট্যান্ড, স্টেশনগুলিতে তল্লাশি চলে। অবশেষে শিয়ালদা স্টেশন থেকে সন্ধান মেলে দেবব্রত আর তন্ময়ের। তখন দার্জিলিং যাওয়ার জন্য গঙ্গাসাগর এক্সপ্রেসে উঠছিল দুই খোকবাবু।
  
কিছুদিন আগেই পরিবারের সঙ্গে দার্জিলিং বেড়াতে গিয়েছিল দেবব্রত ও তন্ময়। ফিরে আসা পর্যন্ত  বেশ মনমরা ছিল দুজনেই। দেখা হলে ঘুরেফিরে কথা শুধু দার্জিলিং নিয়ে। তারপরেই ঠিক হয়, বাড়ি থেকে পালিয়ে সোজা দার্জিলিং। পরিকল্পনা মতো মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার সময় ব্যাগে দুটো বাড়তি জামা নিয়ে নেয় দেবব্রত। দুজনের কাছ থেকে ছিল নগদ দেড়শো টাকা, দুটো ডেবিট কার্ড, একটা এটিএম কার্ড। তবে কোনও পরিকল্পনাই শেষ পর্যন্ত কাজে আসেনি পুলিসের তত্‍পরতায়।

.