শাশুড়িকে খুন করে শাকভর্তি বস্তায় ঢুকিয়ে খালে ফেলার ছক, প্রগতি ময়দানে ধরা পড়লেন বৌমা!
শুক্রবার ভোর রাতে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি সন্দেহজনক হলুদ ট্যাক্সিকে আটক করে টহলদারি পুলিস ভ্যান। উদ্ধার হয় এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অত্যাচার করতেন শাশুড়ি। বৌমার পক্ষে তা মেনে নেওয়া আর সম্ভব হচ্ছিল না। তাই নিজের বাবা-মা আর মামার সঙ্গে মিলে শাশুড়িকেই সরিয়ে ফেলের ছক কষেছিলেন বৌমা। প্ল্যান কিছুটা হলেও সাকসেসফুল হয়ে যায়, কিন্তু শেষ রক্ষা হয় না। দেহ ট্যাক্সিতে নিয়ে খালের ফেলার আগেই পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যান তাঁরা। শুক্রবার ভোর রাতে প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় একটি সন্দেহজনক হলুদ ট্যাক্সিকে আটক করে টহলদারি পুলিস ভ্যান। উদ্ধার হয় এক বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার নাম সুজামানি গায়েন(৬০) । তিনি হরিদেবপুরের কালিতলার বাসিন্দা। তাঁকে খুনের অভিযোগে, বড় বউ সুজাতা গায়েন ও তাঁর বাবা মা মামা অজয় রাং, মালিনা মণ্ডল, বাসু মণ্ডল ও ট্যাক্সি চালকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। জেরায় জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে মেয়ের বাবা মা এবং মামা মিলে খাওয়া দাওয়া করেন। রাত তিনটের পর অপরাধ সংগঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ৩০০০ থেকে ৩ কম, রাজ্যে ফের করোনার রেকর্ড সংক্রমণ, মৃত ৫৬
প্রথমে মাথায় মারা হয়। এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। একটি সবজির বস্তার মধ্যে দেহ ঢুকিয়ে খালে ফেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। এমসি ভ্যান টহলের সময়, ওদের আটকায়। প্রথমে পরমার কাছে আটকায় পুলিস। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। কথায় অসঙ্গতি থাকায় পুলিসের সন্দেহ হয়। ফের প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় আটকায় পুলিস।
ট্যাক্সি থেকে উদ্ধার হয় বস্তা। বস্তা খুলতেই দেখা যায় দেহ।