পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ার 'শাস্তি'স্বরূপ মাকে কলকাতার নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি
কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার অপরাধে মহিলাদের ওপর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন অতি পরিচিত ঘটনা। কিন্তু পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ায় কোনও মাকে নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করা হচ্ছে, এমন কখনও শুনেছেন? মধ্যপ্রদেশের এক অভাগী মায়ের এমনই এক করুণ কাহিনির সঙ্গে জড়িয়ে গেল কলকাতা।
কলকাতা: কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার অপরাধে মহিলাদের ওপর শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন অতি পরিচিত ঘটনা। কিন্তু পুত্রসন্তানের জন্ম দেওয়ায় কোনও মাকে নিষিদ্ধপল্লিতে বিক্রি করা হচ্ছে, এমন কখনও শুনেছেন? মধ্যপ্রদেশের এক অভাগী মায়ের এমনই এক করুণ কাহিনির সঙ্গে জড়িয়ে গেল কলকাতা।
এক মায়ের জীবনের গল্প
----
সেই জীবন যন্ত্রণায় বিদ্ধ
----
গভীর রাতে আচমকা...
----
নিষিদ্ধপল্লির রাস্তায় থমকে দাঁড়ায়!
মধ্যপ্রদেশের এক গ্রামে শ্বশুরবাড়ি। স্বামী কর্মসূত্রে থাকেন মুম্বইয়ে। আর্থিক অবস্থা বেশ ভাল। তারপরেও কেন এভাবে বাড়ির বৌকে সোনাগাছির রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হল? এর পিছনে রয়েছে এক আশ্চর্য কাহিনি!
মহিলার তিন ছেলে। আর সেটাই তাঁর সবচেয়ে বড় অপরাধ। শ্বশুরবাড়ির শক্ত বিধান, মেয়ে জন্মালে স্বাগত। কিন্তু ছেলে, হারগিশ না। এত কন্যাপ্রীতি কেন? মহিলা যা জানালেন, তা শুনলে চমকে উঠতে হয়!
কন্যাসন্তান হলে দেহব্যবসায় নামিয়ে মোটা টাকা রোজগার হোত। শ্বশুরবাড়ির সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছেন মহিলা। পরপর তিন ছেলে। শাস্তি তো পেতেই হবে। অতএব বাড়ির বৌকেই দেহব্যবসায় পাঠানোর বিধান।
শীতের রাতে নিষিদ্ধপল্লির গলিতে সজাগ ছিল বিবেকের আলো। শ্বশুরবাড়ির লোক তাঁকে ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আতঙ্কে চিত্কার শুরু করেন মহিলা। তা শুনে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তাঁদের উদ্যোগেই মহিলা ও শিশুকে উদ্ধার করা হয়। এখন উত্তর কলকাতায় নিজের দিদির বাড়িতে আছেন মহিলা। বাকি দুই সন্তান আছে মায়ের বাড়িতে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার রাস্তা চিরতরে বন্ধ। জীবনের এমন পরিণতিতে ইনসাফ চান মধ্যপ্রদেশের অভাগী মা।