Abhijit Gangopadhyay: 'মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ'!
আদালত থেকে এবার রাজনীতিতে। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। যখন এজলাসে বসতেন, তখন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁর একে পর এক রায়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল রাজ্য় সরকার। এমনকী, চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এখন আর তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি নন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে কি মূল্যায়ণ? 'মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ব্যর্থ। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যে প্রশাসন চালাচ্ছে এবং চালিয়ে এসেছেন, সেটা সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাতে আমি গোল্লা দেব'! জি ২৪ ঘণ্টার 'জনতার এজলাসে জাস্টিস' অনুষ্ঠানে বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বিরোধী দলনেতা হিসেবেও এগিয়ে রাখলেন শুভেন্দুকেই!
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: এবার উত্তর ২৪পরগনা! ভোটের মুখে ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী...
আদালত থেকে এবার রাজনীতিতে। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। যখন এজলাসে বসতেন, তখন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় তাঁর একে পর এক রায়ে বিপাকে পড়তে হয়েছিল রাজ্য় সরকার। এমনকী, চাকরি গিয়েছিল রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ের।
বিরোধী দলনেতা হিসেবে মমতা থেকে কেন এগিয়ে শুভেন্দু? অভিজিৎবাবু বলেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সিপিএমের বিরোধিতা করতেন, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মিথ্যা মামলা ফাঁসানো হত না। শুভেন্দু অধিকারীকে অন্তত ৭০-৭৫টা মিথ্যা মামলা ফাঁসানো হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কোথাও সভা করবেন বলে ঠিক করতেন, তখন রাজ্য় সরকার বা পুলিস সেটাকে আটকে দিত না, করতে দিত। তাঁকে তো দিনের দিনের বামফ্রন্ট সরকার হাইওয়ে আটকে সিঙ্গুরে বসতে দিয়েছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ কাজ করে। কিন্তু শুভেন্দুবাবু সেটার জন্য লড়ে যান। আদালতে যান, মামলা করেন। অর্ডার পান। করে আবার সভা করেন। শুভেন্দুবাবুকে যে কাজটা করতে হয়। সেটা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এতটা কঠিন কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছিল না'।
এদিকে যেদিন বিজেপিতে যোগ দেন, সেদিনই ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকে নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, 'বিচারের চেয়ার বসে, বিজেপিবাবু, বিজেপি পার্টিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করছেন। এদের থেকে তাকিয়ে মানুষ বিচার পাবে! এরা কেউকেটা! তবে আমি খুশি, তাঁদের মুখোশটা বেরিয়ে গিয়েছে। মুখোশটা খুলে পড়েছে'!
এদিন অভিজিৎবাবু বলেন, 'মুখোশ তো কিছুই ছিল না। ভুল বলছেন! ওনাকে সবসময় ভুল ব্রিফ করা হয়। ওনার আশেপাশে যে সাঙ্গপাঙ্গোরা আছেন না, তাঁরা এত সন্ত্রস্ত যে, সামান্য কিছু যদি ওনার বিরুদ্ধে কথা বলে ফেলা হয়, হয়তো তাঁর গলা কাটা যাবে। সেজন্য ভুল বলে দেওয়া হয়। সেই ভুলটাই বলতে থাকেন'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)