Coal Case: কলকাতার কেস আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে দিল্লিতে, রাজধানীর পথে Abhishek
রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করলেন অভিষেক।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কয়লা পাচার-কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) দফতরে হাজিরা দিতে রবিবার দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,'কলকাতার কেস আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে দিল্লিতে। আমি যাব দিল্লিতে। আমি তো যাচ্ছি। আমি সব ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি।'
অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন,' এই এত বড় দুর্নীতির কথা বলছে! কেউ বলছে ১০০ কোটি, কেউ বলছে ২০০ কোটি, কেউ বলছে ৫০০ কোটি, কেউ বলছে ১০০০ কোটি। আমি নভেম্বরে প্রকাশ্যে জনসভা থেকে বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ কেন্দ্রীয় সংস্থা জনসমক্ষে আনতে পারলে বা কোথাও থেকে ১০ পয়সাও নিয়েছি প্রমাণ থাকলে জনসমক্ষে আনুন। আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না। আমাকে বলুন ফাঁসির মঞ্চ করে মৃত্যুবরণ করতে রাজি আছি। আজও একই কথা বলছি। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি। জনসমক্ষে আনছেন না কেন?'
কয়লা পাচার-কাণ্ডে গত ২৮ অগাস্ট অভিষেক ও তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে দিল্লির দফতরে তলব করে নোটিস পাঠায় ইডি। রুজিরাকে ১ সেপ্টেম্বর ও অভিষেক ৩ সেপ্টেম্বর হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। রুজিরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন,অতিমারির সময়ে দুই সন্তানকে নিয়ে দিল্লিতে যেতে পারবেন না। কলকাতার বাড়িতেই যেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ইডি-নোটিস প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,'কলকাতার কেস আমাকে ডেকে পাঠিয়েছে দিল্লিতে। আমি যাব দিল্লিতে। আমি তো যাচ্ছি। আমি সব ধরনের তদন্তের মুখোমুখি হতে রাজি।'
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? অভিষেকের জবাবে, সে তো মানুষ ঠিক করবে। রাজনৈতিকভাবে হেরে গিয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে মোকাবিলা না করতে পেরে প্রতিহিংসার রাজনীতিতে নেমেছে। তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ করা ছাড়া এদের কোনও কাজ নেই। বিজেপির যে কোনও সর্বভারতীয় নেতাকে অনুরোধ করছি, আপনি চ্যানেল ঠিক করুন। সময় ঠিক করুন। কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা কীভাবে কাজ করেছে, আর ভারতবর্ষের কি করুণ পরিণতি হয়েছে আপনাদের ৭ বছরের শাসনকালে, এক্সপোজ করতে না পারলে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখব না। '
নারদা-স্টিং ভিডিয়োর প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়,'যাদের হাত পেতে টিভির পর্দায় নির্দ্বিধায়, নির্লজ্জভাবে টাকা নিতে দেখা গেল তাদের চার্জশিটে নাম থাকে না। তখন কি ইডি-সিবিআইয়ের চোখে ছানি পড়ে যায়! কাগজ, টাওয়াল মুড়ি দিয়ে ৫ লক্ষ নিচ্ছে, ৬ লক্ষ নিচ্ছে! সুদীপ্ত সেন লিখিত অভিযোগ করেছে। একজন এখানে বিজেপির বিরোধী দলনেতা। আর একজন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। এই তো বিজেপির দ্বিচারিতা। তৃণমূলকে এভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। যত ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করুন। এক ইঞ্চি মাথা নত করবে না তৃণমূল। আর যাই হোক, শিরদাঁড়া বিক্রি করব না।'
আরও পড়ুন- By-Polls: ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে কে? এই ৪ নাম উঠল BJP নেতাদের ফোনালাপে
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)