Exclusive Abhishek: কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট কি সোনার পাথরবাটি নয়!, কী বললেন অভিষেক
গোয়ায় অনেক নেতাই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন আবার দল ছেড়েও দিয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য হল তৃণমূল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। কেন এমন হল
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। ওইসব রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে বিভিন্ন দল। কিন্তু বিজেপি বিরোধী দলগুলি একজোট হলে শক্তি বাড়তো। এমন এক পরিস্থিতিতে কংগ্রসেকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট কি সম্ভব? জি ২৪ ঘণ্টাকে এক সাক্ষাতকারে এর ব্যাখ্য়া দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট কি সোনার পাথরবাটি নয়? একদমই নয়। এই দৃষ্টিভঙ্গিটা বদল করতে হবে। এমনটাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, আমরা যদি ভাবি, কংগ্রেসের উপরে নির্ভর করে বিজেপিকে হারানো যাবে, তবে বলব নিশ্চয় যাবে। কিন্তু ততদিনে বিজেপি এতটাই শক্তিশালী হয়ে যাবে আপনি কিছু করতে পারবেন না। কংগ্রেস মুখে বলে এক কথা আর কাজে করে অন্য জিনিস। ওরা বিজেপির বিরুদ্ধে কিছু করছে না। গত কয়েক বছর তৃণমূল যেভাবে বিজেপির সঙ্গে লড়াই করেছে সেই লড়াইটা কি পঞ্জাবে দেখা গিয়েছে? গোয়ায় দেখা গিয়েছে? কংগ্রেস সক্রিয় হয়েছে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর। ভোট ঘোষণার পর হাতে থাকে ২ মাস। ওই সময়ে আপনি কী করবেন? মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে আপনাকে মাঠে ময়দানে পড়ে থাকতে হবে। ফেসবুক, টুইটারে যদি বিজেপি বিরোধী কোনও পোস্ট করি তাহলে হবেটা কী! মুখে বলা আর মাঠে-ময়দানে নেমে কাজ করার মধ্যে অনেক তফাত।
উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে অখিলেশ যাদবকে(Akhilesh Yadav) সমর্থন করছে তৃণমূল কংগ্রেস। অখিলেশের হয়ে সভাও করবেন তৃণমূল নেত্রী(Mamata Banerjee)। এখন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে(Uttar Pradesh Assembly Election 2022) সমাজবাদী পার্টি যদি বিজেপিকে ঠেকিয়ে দিতে পারে তাহলে অখিলেশ যাদবই তো মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে সামনে এসে যাবেন? তৃণমূলের তাতে কী? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) বলেন, সমস্য়া এখানেই। যদি কেউ ভাবে আমি মোদীকে আটকে আমি বড় হয়ে যাব তাহলে কী করা যাবে? আগে আমাদের ভাবতে হবে কীভাবে মোদীকে আটকানো যাবে। কংগ্রেস তো এই জন্যই আটকে রয়েছে। কংগ্রেস মনে করছে আমি দুনম্বরে রয়েছি ঠিক আছে। কিন্তু তৃণমূল যদি চলে আসে তাহলে আমি ৩ নম্বর হয়ে যাব। ওরা দু'নম্বরে থাকতে ভালোবাসে। অখিলেশ যাদব যদি ভোটে জিতে বড়মুখ হয়ে যায় তাহলে যাবে। শেষপর্যন্ত কে প্রধানমন্ত্রী হবে তা তো এখানে বসে ঠিক করা যাবে না।
বাংলার বাইরে তৃণমূলের বিস্তার সম্পর্কে অভিষেক বলেন, তৃণমূল যেখানেই যাচ্ছে সেখানকার মানুষ জানে তৃণমূল কংগ্রেস মাঠে ময়দানে নেমে লড়াই করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মানুষের ধারনা, এই মহিলা বিজেপিকে হারিয়েছেন। ইনিই পারেন। গোয়া(Goa Assembly Election 2022), ত্রিপুরা দুই জায়গাতেই এটা দেখেছি। গোয়ার লোকদের সঙ্গে কথা বলে দেখেছি, ওরা বলছে দিদিই বিজেপিকে হারাতে পারে। ত্রিপুরাতেও মানুষের বক্তব্য, বাংলাতে আপনারা করে দেখালেন। ত্রিপুরাতে আপনারাই পারবেন। এই যে বিশ্বাস মানুষের মনে তৈরি হয়েছে তা তৃণমূলের জন্য একটা বড় পাওয়া।
আরও পড়ুন- রাজনীতিতেও অবসরের বয়স থাকা প্রয়োজন, ' নিয়ম বদলের সুর' অভিষেকের গলায়!
গোয়ায় অনেক নেতাই তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন আবার দল ছেড়েও দিয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য হল তৃণমূল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করছে। কেন এমন হল? অভিষেক বলেন, এমন হওটা স্বাভাবিক। ২০২১ এর নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে ক্ষমতায়। সেই পরিস্থিতিতেও বহু নেতা দল ছেড়ে যাচ্ছে। গোয়াতে আমরা জিরো থেকে শুরু করেছি। যারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছে তারা হয় কংগ্রেস থেকে নয়তো গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি থেকে এসেছে, নয়তো বিজেপি থেকে এসেছে। খুবই স্বাভাবিক এদের মধ্যে কিছু লোক ছেড়ে যাবে। আর যারা টিকিট পাওয়ার লোভে তৃণমূলে এসেছিল তাদের অনেকে চিকিট না পেয়ে চলে গিয়েছে।