ইলিশের অভাবে পূরণে এবার মত্স্য আইন সংশোধন
খাতায় কলমে বহুদিন বর্ষা এসে গেলেও বর্ষার খামখেয়ালীপনায় এখনও বাঙালির পাত বঞ্চিত ইলিশ থেকে। বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে ইলিশ। রমজান মাসে বাংলাদেশ থেকেও রফতানি বন্ধ। রাজ্যে ইলিশের অভাব মেটাতে এবার মত্স্য আইন সংশোধন করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
খাতায় কলমে বহুদিন বর্ষা এসে গেলেও বর্ষার খামখেয়ালীপনায় এখনও বাঙালির পাত বঞ্চিত ইলিশ থেকে। বাজারে চড়া দামে বিকোচ্ছে ইলিশ। রমজান মাসে বাংলাদেশ থেকেও রফতানি বন্ধ। রাজ্যে ইলিশের অভাব মেটাতে এবার মত্স্য আইন সংশোধন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। মোহনায় যথেচ্ছভাবে ছোট ইলিশ ধরার কারণেই ইলিশ উধাও হয়ে যাচ্ছে বলে দাবি মত্স্যমন্ত্রী আবু হেনার। তাই ইলিশ বাঁচাতে এবার বাংলাদেশের ধাঁচে কড়া আইন প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি।চলতি মরশুমে রাজ্যের বিভিন্ন বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে ইলিশ।
বাজারে ইলিশ অমিলের মূল কারণ গঙ্গার মোহনায় যথেচ্ছভাবে ছোট ইলিশ ধরা। আইনত নিষিদ্ধ ছোট ছোট ফাঁস জাল বা মশারি জালও যত্রতত্র ব্যবহার করছেন রাজ্যের মত্স্যজীবীরা। মত্স্যমন্ত্রীর অভিযোগ, সেক্ষেত্রে এফআইআর করেও বিশেষ কোনও লাভ হচ্ছে না। বাংলাদেশের আইন অনেক কড়া বলেই সেখানে বড় মাপের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে দাবি মন্ত্রীর। মাছেদের প্রজননের সময়ে বাংলাদেশে মাছ ধরা নিষিদ্ধ।কিন্তু এরাজ্যের মত্স্যজীবীরা এসব মানেন না বলেও তাঁর অভিযোগ।
ইলিশ বছরে দুবার ডিম পাড়ে। সেই কারণে ১৫ মে থেকে ৩০ জুন এবং লক্ষ্মীপুজোর পর থেকে ৪৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখার কথা। কিন্তু মত্স্যজীবীরা এসব মানেন না বলে মন্ত্রীর অভিযোগ। সাধারণতঃ আটশো গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশে পেতে সময় লাগে দেড় বছর। পাঁচশো থেকে ছশো গ্রামের ইলিশ পেতে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু তার আগেই ইলিশ ধরে ফেলায় সমস্যা বাড়ছে। ছোট ইলিশ ধরার প্রশ্নে মত্স্যজীবীদের সচেতনতার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে মত্স্য দফতরের গাফিলতির কথাও স্বীকার করে নিয়েছেন মত্স্যমন্ত্রী। সেই কারণেই কড়া আইন চালু করতে চাইছেন তিনি।