Adenovirus Child Death: বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক, উদ্বেগের মধ্যেই বাড়ছে শিশুমৃত্যু
রাজ্যে বাড়ছে শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাসের দাপট। স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালগুলিকে এনিয়ে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিলেও পরিস্থিতি কতটা ঘোরতর তা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। অধিকাংশ হাসপাতালে বাড়ছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা।
![Adenovirus Child Death: বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক, উদ্বেগের মধ্যেই বাড়ছে শিশুমৃত্যু Adenovirus Child Death: বাড়ছে অ্যাডিনো আতঙ্ক, উদ্বেগের মধ্যেই বাড়ছে শিশুমৃত্যু](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/03/02/408873-child.jpg)
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: অ্যাডিনো উদ্বেগের মধ্যেই বাড়ছে শিশুমৃত্যু। বৃহস্পতিবার বিসি রায় হাসপাতালে এক, মেডিক্যালে মৃত এক শিশু। নিউমোনিয়ায় মৃত্যু দাবি হাসপাতালের। কলকাতায় পরপর শিশুমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ। এবার সাড়ে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু বি সি রায় শিশু হাসপাতালে। খানাকুলের ওই শিশুকে মঙ্গলবার জ্বর এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বি সি রায় শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বৃহস্পতিবার ভোরে মৃত্যু হয় তার।
আরও পড়ুন, Adeno Virus: অ্যাডিনোর দাপট বাড়ছে, ভাইরাস হানায় আরও ২ শিশুর মৃত্যু
এমনকী আরও এক শিশুর মৃ্ত কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে। যদিও নিউমোনিয়ায় ওই শিশুর মৃত্যু বলে দাবি হাসপাতালের। কলকাতায় পরপর শিশুমৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ। রাত আড়াইটা নাগাদ মৃত্যু হয় হুগলীর বাসিন্দা এক বছর ৩ মাসের শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। গত ২১ ফেব্রুয়ারি জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছিল তার শরীরে। তার দুটো ফুসফুসেই নিউমোনিয়া হয়ে যায়। সেপসিসও হয়ে গিয়েছিল। রাতে অ্যাকিউট মাল্টি অরগ্যান ফেলিওরের জেরে মৃত্যু বলে সূত্রের খবর।
রাজ্যে বাড়ছে শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাসের দাপট। স্বাস্থ্য দফতর হাসপাতালগুলিকে এনিয়ে তৈরি থাকতে নির্দেশ দিলেও পরিস্থিতি কতটা ঘোরতর তা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। অধিকাংশ হাসপাতালে বাড়ছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। ফলে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা শিশুদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিত্সকেরা।
মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর অ্যাডিনোভাইরাস রুখতে এই নির্দেশিকা জারি করে স্বাস্থ্য দফতর। ১০ দফার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, প্রতিটি হাসপাতালের শিশুরোগ বিভাগকে সজাগ থাকতে হবে। দ্রুত চিকিৎসার স্বার্থে আলাদা করে শিশুরোগ বিভাগ চালু করতে হবে। শ্বাস কষ্ট নিয়ে কোনও শিশু ভর্তি হলে, তাকে রেফার করা যাবে না। অক্সিজেন, ভেন্টিলেটর-সহ বাকি সামগ্রী মজুত রাখতে হবে। শিশুদের এই ভাইরাস থেকে রুখতে সচেতন করবেন আশাকর্মীরা। প্রতি হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে হবে স্যানিটাইজেশনের কাজ।
আরও পড়ুন, Child Death: অ্যাডিনোভাইরাস ও নিউমোনিয়ায় কলকাতার ২ হাসপাতালে একদিনে মৃত্যু ৫ শিশুর