২৪ ঘণ্টার খবরের জের, দীর্ঘ রোগ ভোগের পর বেলঘরিয়ার অসহায় বৃদ্ধার ভার নিল মেয়ে
চরম দুরাবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন বছর সাতাত্তরের বৃদ্ধা সন্ধ্যা দাসগুপ্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বয়সের ভারে অশক্ত শরীর। কিন্তু দেখার কেউ নেই। বৃদ্ধার অভিযোগ, ছেলে থেকেও ছেলে নেই। অশক্ত মাকে দেখতে রাজি নন পুত্রবধূও। বেলঘরিয়ার দেশপ্রিয় বিদ্যানিকেতন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকার জীবনসায়াহ্নে অবস্থা এখন এমনটাই। দুবেলা খাবারও জোটেনা ঠিকমতো। চরম দুরাবস্থায় দিন কাটাচ্ছিলেন বছর সাতাত্তরের বৃদ্ধা সন্ধ্যা দাসগুপ্ত।
জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে বেলঘরিয়া কাণ্ডে সক্রিয় হয় পুলিস। বৃদ্ধা মায়ের দেখভালের দায়িত্ব তুলে নিলেন মেয়ে সিম্ফনি দাশগুপ্ত। গত দেড় মাস ধরেই চরম অবহেলায় বাড়িতে একাই পড়েছিলেন সাতাত্তর বছরের সন্ধ্যা দাশগুপ্ত। মেয়ের অভিযোগ, মাকে দেখতেও দিতেন না দাদা,বৌদি। মানিসিক ও শারীরিক অত্যাচারেই আজ শয্যাশায়ী মা।
আরও পড়ুন: 'সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, ছাড়া হবে না', বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
মায়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন মেয়ে সিম্ফনি দাশগুপ্ত। বৃদ্ধার পুত্রবধূর অভিযোগ, পারিবারিক অশান্তির শিকার হয়েই তিনি ঘর ছেড়েছেন। তবে এবার চিন্তা মুক্ত। যেকোনও সমস্যাতেই পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে পুলিস। নাকে অক্সিজেন মাস্ক, রাইলস টিউব। মুখে নিয়ে নিজের লড়াই একাই চালিয়ে যাচ্ছিলেন বৃদ্ধা। জি ২৪ ঘণ্টার খবরের পর বৃদ্ধা পাশে পেলেন মেয়েকে। পাশে দাঁড়ালেন প্রতিবেশীরাও।
আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যদি কোনও সন্তান বাবা-মাকে না দেখে সেক্ষেত্রে সন্তানের জেল পর্যন্ত হতে পারে। সাহায্য চেয়ে পুলিসেরও দ্বারস্থ হতে পারেন অভিভাবক। সেক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।