মেডিকেলে CCU পেতে করোনা রোগীকে দিতে হবে ১২ হাজার টাকা ঘুষ, সংবাদমাধ্যমকে জানালেই রোগী খুনের হুমকি দালালদের

এই ঘটনা কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। কার্যত মরোনাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বছর ৬৫-র বৃদ্ধাকে। তবে পরিস্থিতির জেরে বেড মিলছিল না কিছুতেই। অন্যদিকে সিসিইউ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে দু-দিন ধরে দরদাম চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক দল দালাল। 

Reported By: তন্ময় প্রামাণিক | Edited By: Priyanka Dutta | Updated By: Jun 15, 2020, 04:43 PM IST
মেডিকেলে CCU পেতে করোনা রোগীকে দিতে হবে ১২ হাজার টাকা ঘুষ, সংবাদমাধ্যমকে জানালেই রোগী খুনের হুমকি দালালদের

তন্ময় প্রামাণিক: মেডিকেল চত্বরে চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের তোলাবাজির কথা সামনে এসেছিল এর আগেই। এবার ফের প্রকাশ্য়ে আরও এক বর্বরতা। অভিযোগ, খাস সরকারি হাসপাতালে টাকার বিনিময় সিসিইউ ভাড়া দিচ্ছেন দালালরা। করোনা রোগীর সিসিইউ বিক্রি হচ্ছে ১২ হাজার টাকায়। তবে, রোগীর পরিবারের কান্নাকাটিতে ৫০০০ টাকাতেও রফা করছেন এই দালালরা। 

আরও পড়ুন: করোনা রোগীর কাছে গামছা, তেল, জল পৌঁছে দিলেই মোটা টাকা, দেদার তোলাবাজি মেডিকেলে

এই ঘটনা কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের। কার্যত মরোনাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল বছর ৬৫-র বৃদ্ধাকে। তবে পরিস্থিতির জেরে বেড মিলছিল না কিছুতেই। অন্যদিকে সিসিইউ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে দু-দিন ধরে দরদাম চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক দল দালাল। অভিযোগকারী পরিবার জানিয়েছেন সিসিইউ-তে রোগীকে ভর্তির জন্য তাঁদের কাছে ১২ হাজার টাকা চাওয়া হয়। তবে সামর্থ না থাকায় কার্যত কাকুতি মিনতি করে পরিবার। অবশেষে ৫০০০ হাজার টাকা জোগাড় করে দালালদের হাতে তুলে দেয় রোগীর পরিবার। এরপরেই সিসিইউতে বেড পান মরোনাপন্ন বৃদ্ধা। 

আরও পড়ুন: শিশু খুনের আগে স্ত্রীকেও খুন করেন? বড়বাজারের ঘটনায় নয়া 'রহস্য'-এর গন্ধ!

এখানেই শেষ নয়, টাকা লেনদেনের কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানালে সিসিইউতে ঢুকে রোগীর নল খুলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন দালালরা। আর তাতেই রীতিমতো ভয়ে আশঙ্কায় সিঁটিয়ে রয়েছেন রোগীর আত্মীয়রা। গতকালই জি ২৪ ঘণ্টা প্রকাশ্যে এনেছিল চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের বর্বরতা। রোগীর কাছে গামছা, তেল, খাবার পৌঁছে দিয়ে ইচ্ছে মতো টাকা আদায় করা হচ্ছিল রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কার্যত নৃশংসতার পরিচয় দিয়ে চলেছেন একদল কর্মী। করোনা হাসপাতাল মেডিকেল কলেজে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ উঠছে। পরিস্থিতি শীঘ্রই খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন মেডিকেলের সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস। কিন্তু তাতেও টনক নড়নি এই কর্মীদের। সুপার স্পেশালিটি ব্লক থেকে গ্রিন বিল্ডিং প্রকাশ্যেই চলছে দেদার লেনদেন। সর্বত্রই রোগীর পরিজনদের হাহাকার। আর্থিক ভাবে দুর্বল রা শুধু কাঁদছেন...

.