জমি বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ অজয় চক্রবর্তী
গানের স্কুলের জমি বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তাঁর স্কুলের পাশের জমিটি শুক্রবার জবরদখলের চেষ্টা হয়। অজয় চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর দেখা না পেলেও, যাদবপুর থানার হস্তক্ষেপে জবরদখল ঠেকানো গিয়েছে।
জমির জবরদখল রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। তাঁর স্কুলের পাশের জমিটি জবরদখলের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। অজয় চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর দেখা না পেলেও, যাদবপুর থানার হস্তক্ষেপে জবরদখল ঠেকানো গিয়েছে।
সরকারের কাছে জমি লিজ নিয়ে টালিগঞ্জের গল্ফ ক্লাব রোডে গানের স্কুল শ্রুতিনন্দন তৈরি করেন অজয় চক্রবর্তী। পার্ক তৈরির উদ্দেশ্য ১৯৯৮ সালে পাশে উদয়শঙ্কর সরণীর একফালি জমিটিও কিনতে চান তিনি। সরাসরি মালিকের কাছ থেকে জমি কিনতে না পেরে অজয় চক্রবর্তী রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ২০০১ সালে রাজ্য সরকার জমিটি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। জমিটি জনস্বার্থে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে দেওয়া হবে বলে গেজেট নোটিফিকেশনও প্রকাশ করা হয়। জমির দাম বাবদ সরকারি কোষাগারে ১৬ লাখ টাকা জমা দেন অজয় চক্রবর্তী। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া অনেকটা এগোনোর পর, সেটিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে হাইকোর্টে মামলা করেন হেমন্ত চৌধুরী নামে এক প্রোমোটার। জমির বিষয়টি আপাতত আদালতের বিচারাধীন।
এরমধ্যেই শুক্রবার সকালে জমিটি জবরদখল করার চেষ্টা করা হয়। শ্রুতিনন্দনের পিআরও অর্চন মৈত্র জানান, প্রায় ৭০-৮০ জন লোক পাঁচিল ভেঙে জমিতে ঢোকে। এরপর ইঁট, বালি শুরু করে নতুন করে পাঁচিল তোলার কাজ। জমিটির মালিকানা নিয়ে বিতর্ক চলছিল বহুদিন আগে থেকেই। শুক্রবার আদালতে বিচারাধীন এই জমিটির এইভাবে জবরদখলের চেষ্টায় ফের নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।