কেকেআর-এর সব ম্যাচে বেটিং হয়েছে, বোমা ধৃত সুরেখা`র
কলকাতার গৌড়িবাড়ি এলাকা থেকে ধৃত বেটিংয়ে চক্রের পান্ডা অজিত সুরেখাকে জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু আইপিএল সিক্স নয়, আইপিএল ফাইভের একাধিক ম্যাচে বেটিং হয়েছে কলকাতা থেকে। ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ভারতের প্রায় সব ম্যাচেই সক্রিয় ছিল কলকাতার বেটিং চক্র। যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন টলিউডের উঠতি প্রযোজক অজিত সুরেখা। এমনটা দাবি কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের।
কলকাতার গৌড়িবাড়ি এলাকা থেকে ধৃত বেটিংয়ে চক্রের পান্ডা অজিত সুরেখাকে জেরায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। শুধু আইপিএল সিক্স নয়, আইপিএল ফাইভের একাধিক ম্যাচে বেটিং হয়েছে কলকাতা থেকে। ক্রিকেট বিশ্বকাপেও ভারতের প্রায় সব ম্যাচেই সক্রিয় ছিল কলকাতার বেটিং চক্র। যার মাস্টার মাইন্ড ছিলেন টলিউডের উঠতি প্রযোজক অজিত সুরেখা। এমনটা দাবি কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দাদের।
বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে টলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিও উঠতি প্রযোজক অজিত সুরেখাকে গ্রেফতার করে পুলিস। সুরেখার কাছ দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করে পুলিস। উদ্ধার হওয়া দুটি ল্যাপটপ থেকে মিলেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ানস ও চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচের নথি। এবার অজিত সুরেখাকে জেরায় গোয়েন্দাদের হাতে উঠে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিসের দাবি, জেরায় সুরেখা জানিয়েছেন-
১) আইপিএল সিক্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের একাধিক ম্যাচে নিয়মিত বেটিং হয়েছে।
২) কলকাতা থেকে বেটিং হয়েছে মুম্বই এবং চেন্নাইয়ের কয়েকটি ম্যাচেও।
৩) গতবারের আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের লিগ এবং প্লে-অফ ম্যাচেও কোটি কোটি টাকার বেটিং হয়।
৪) ২০১১ ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের একাধিক ম্যাচে বেটিংয়ের সঙ্গে জড়িত অজিত সুরেখা।
মোবাইল ফোনের কললিস্ট ঘেঁটে দেশের বিভিন্ন শহরের বুকিদের সঙ্গে সুরেখার নিয়মিত যোগাযোগের তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। পুলিসের দাবি, মুম্বইয়ের কয়েকজন বুকির সঙ্গে রীতিমতো ঘনিষ্ঠতা ছিল সুরেখার। ভিনরাজ্যের বুকিদের সঙ্গে সুরেখার ঘনিষ্ঠতা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের। কলকাতার বেটিং চক্র আইপিএল স্পট ফিক্সিং চক্রের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত কিনা তার খোঁজ শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। আন্তর্জাতিক স্তরে সক্রিয় বেটিং চক্রের আমন এন্টারটেনমেন্ট প্রযোজনা সংস্থার কর্তা অজিত সুরেখার যোগাযোগের বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে কলকাতায় বেটিং চক্র ধরা পড়ার পর ইডেনে আইপিএলের দুটি প্লে-অফ ম্যাচ নিয়ে বাড়তি সতর্ক কলকাতা পুলিস। প্লে-অফ ম্যাচে বেটিং রুখতে ২৬ জনের একটি বিশেষ বাহিনী তৈরি করেছে কলকাতা পুলিস। ডিসি ডিডি স্পেশাল সন্তোষ পান্ডের নেতৃত্ব এই বাহিনী ম্যাচের দিন নজরদারি চালাবে।