বাংলায় সাম্প্রদায়িকতা না রুখলে রবি-নেতাজির যোগ্য উত্তরসূরী হতে পারব না: Amartya
পশ্চিমবঙ্গে যাতে সাম্প্রদায়িকতা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তৃণমূলের চেয়ে কোনও অংশে কম নয় বাম ও অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির ভূমিকাও, মনে করেন অমর্ত্য।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কারও নাম করেননি। তবে সাম্প্রদায়িকতা রোখার বার্তা দিয়ে কি বিজেপিকেই নিশানা করলেন অমর্ত্য সেন (Amartya Sen)? বাংলায় সাম্প্রদায়িক শক্তিকেই রোখা একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে মনে করিয়ে 'ধর্মনিরপেক্ষ' দলগুলিকে বার্তা দিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তাঁর অভিমত,'রাজনৈতিক দলগুলির আলাদা লক্ষ্য থাকতে পারে। তবে সাম্প্রদায়িকতার মোকাবিলায় এক অবস্থান থাকা দরকার। নইলে আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র যোগ্য উত্তরাধিকারী হতে পারব না। পশ্চিমবঙ্গে যাতে সাম্প্রদায়িকতা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তৃণমূলের (TMC) চেয়ে কোনও অংশে কম নয় বাম ও অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির ভূমিকাও।'
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া ইমেল সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন (Amartya Sen) বলেন,'ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির কর্মসূচি আলাদা থাকতে পারে। তবে সাম্প্রদায়িকতার মোকাবিলায় ঐকমত্য থাকা দরকার। সেজন্য তৃণমূলের চেয়ে বামদলগুলির ভূমিকা কোনও অংশে কম নয়। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ফারাক থাকলেও বাংলাকে ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক রাখাই লক্ষ্য হওয়া উচিত। নচেৎ আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর যোগ্য উত্তরাধিকারী হতে পারব না।'
আগেও বাংলা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শিকার হয়েছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। তাঁর কথায়,'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও স্বামী বিবেকানন্দ ঐক্যবদ্ধ বাঙালি সংস্কৃতির (United Bengali Culture) পক্ষে সওয়াল করে গিয়েছেন। এক সম্প্রদায়কে আর এক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা হলে, তার কোনও ঠাঁই নেই বাংলায়। কাজি নজরুল ইসলাম বাংলার অন্যতম মনীষী। এটাই বাঙালির সংস্কৃতি। অতীতে সাম্প্রদায়িকতার ফল ভোগ করেছে বাংলা। তা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।'
অমর্ত্যর পৈত্রিক বাড়ি প্রতীচীর জমির একাংশ বিশ্বভারতীর বলে দাবি করছে একটি মহল। এ নিয়ে নোবেলজয়ীর পাশে দাঁড়িয়ে চিঠি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অমর্ত্যও। প্রতীচী বিতর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়া, 'বিশ্বভারতীর উপাচার্যের আচরণে স্তম্ভিত হয়েছি। সংবাদমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। অথচ জমি ফেরত চেয়ে কখনও চিঠি দেননি। উপাচার্যের বোধবুদ্ধি নিয়ে আমি ঠিক নিশ্চিত নই।'
আরও পড়ুন- দেশে ৭ জনের দেহে মিলল নয়া Covid Strain, বাড়তে পারে UK-র উড়ানে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা