Anubrata Mondal: কে আপনি হরিদাস পাল? মেয়ের চাকরি প্রশ্নে মেজাজ হারালেন কেষ্ট
Anubrata Mondal: টেট পাস-ই করেননি অনুব্রত কন্য়া সুকন্যা মণ্ডল! অথচ পাস না করেই বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই চাকরিতেও বাড়ি বসেই বেতন পেতেন সুকন্যা মণ্ডল!
দেবারতি ঘোষ: 'আপনি কোন হরিদাস পাল? মেয়ের চাকরি কীভাবে হয়েছে সেটা আদালত বুঝবে। যা বলার আদালতে বলব। আপনি বা আপনাদের কেন বলব?' সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারালেন অনুব্রত। মুখ খুললেন মেয়ের চাকরি নিয়ে। প্রসঙ্গত, বুধবারই টেট দুর্নীতিতে নাম জড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। সেই মামলায় এদিন হাইকোর্টে হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেষ্ট-কন্যাকে। সেই প্রসঙ্গেই স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে আসা অনুব্রত মণ্ডলকে প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা। এদিন স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তখনই মেয়ের চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারান কেষ্ট।
টেট পাস-ই করেননি অনুব্রত কন্য়া সুকন্যা মণ্ডল! অথচ পাস না করেই বোলপুরের কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেই চাকরিতেও বাড়ি বসেই বেতন পেতেন সুকন্যা মণ্ডল! কোনও ডিউটি করতেন না। কোনও ক্লাস নিতেন না। একদিনের জন্যেও স্কুলে যাননি তিনি। একদিনের জন্য ছাত্র পড়াননি তিনি। অভিযোগ এমনই। তাহলে কীভাবে স্কুলে তাঁর উপস্থিতি নথিভুক্ত হত? যার ভিত্তিতে তিনি বেতন পেতেন! সেখানেও সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! স্কুলের তরফেই নাকি উপস্থিতির রেজিস্টার নিয়ে যাওয়া হত অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে। তিনি সেই খাতায় শুধু সই করে দিতেন। এভাবেই চাকরি করতেন কেষ্ট-কন্যা। বাড়ি থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরেই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়। ২০১২ সালে টেটের পর এই কালিকাপুর প্রাইমারি বিদ্যালয়েই চাকরিতে যোগদান করেন সুকন্যা। যদিও তিনি টেট-ই দেননি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, যোগদানের পর থেকে আর বিদ্যালয়েই যাননি তিনি।
আরও পড়ুন, Anubrata Mandal: বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদেও কন্ট্রোল হত গরু পাচার! প্রমাণ পেল সিবিআই
তবে শুধু মেয়ে সুকন্যা নন, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আরও কয়েক জনেরই নাকি চাকরি হয় ওই একই সময়ে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের ভাইপো সুমিত মণ্ডল ও সাত্যকি মণ্ডল, তাঁর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্ত, অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কস্তুরী চৌধুরী ও সুজিত বাগদি। সকলেরই চাকরি হয় তাঁদের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে। এই বিষয়ে তৎকালীন বীরভূম জেলা প্রাইমারি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রাজা ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে যেমন লিস্ট এসেছিল, আমরা তেমন কাজ করেছিলাম। টেট পরীক্ষার সাথে আমাদের কোনও সম্পর্ক ছিল না। শুধুমাত্র জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করেছিলাম।' এখন উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, এই রাজা ঘোষও অনুব্রত মণ্ডলের আত্মীয়। এই মামলায় আদালত বৃহস্পতিবারই সুকন্যা মণ্ডল সহ সবাইকে টেট পাসের সার্টিফিকেট সহ হাজির হতে নির্দেশ দেয়।