২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দলের শুদ্ধিকরণের ডাক মুখ্যমন্ত্রীর, তাও কেন অধরা দলের অভিযুক্তরা? উঠছে প্রশ্ন
একদিকে দলে শুদ্ধিকরণের বার্তা, অন্যদিকে দলীয় কর্মীরা দোষ করলে শাস্তির নিদান। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার ঘুরেফিরে এল এই বক্তব্যই।
কলকাতা: একদিকে দলে শুদ্ধিকরণের বার্তা, অন্যদিকে দলীয় কর্মীরা দোষ করলে শাস্তির নিদান। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে বারবার ঘুরেফিরে এল এই বক্তব্যই।
রাজনৈতিক মহলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে গেল, তাহলে অনুব্রত মণ্ডল, মণিরুল ইসলাম বা তাপস পাল এখনও শাস্তি পেলেন না কেন? কেনই বা বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দরাজ সার্টিফিকেট পাচ্ছেন অভিযুক্ত এই নেতা-কর্মীরা?
অভিযুক্ত এক -
অনুব্রত মণ্ডল, পারুইয়ে সাগর ঘোষ হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত
কী বলেছিলেন তিনি- পুলিসকে বোমা মারুন।
তাঁর সম্পর্কে কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী- কেষ্ট ভালো সংগঠক। তার জন্য শেষ পর্যন্ত যাব।
সিটের চার্জশিট থেকেও বাদ গিয়েছে তাঁর নাম।
অভিযুক্ত দুই-
মণিরুল ইসলাম, লাভপুর কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত
কী বলেছিলেন তিনি- পায়ের তল দিয়ে মেরে দিয়েছি।
তাঁর সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি কিছু না বললেও নির্বাচনী প্রচারে মমতার মঞ্চে দাপিয়ে বেড়াতে দেখা গিয়েছে লাভপুরের এই
বিধায়ককে।
অভিযুক্ত তিন-
তাপস পাল। কী বলেছিলেন তিনি-সিপিএম সমর্থকদের ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে রেপ করিয়ে দেব।
মুখ্যমন্ত্রী কী বলেছেন- আমি কী করব? আমি কি ওকে খুন করব?
একের পর এক অভিযোগ উঠছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। কিন্তু, কোনও শাস্তি হয়নি।
শুধুই কি কথার কথা? আদৌ কি কোনও শাস্তি হবে তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের? সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।