অভিজিতের ডিলিট শংসাপত্রে সই করেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছাড়লেন রাজ্যপাল

পুলিসি তৎপরতায় তাঁকে কোনও মতে গ্রিনরুমে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হল না। ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ এড়িয়ে মঞ্চে পৌঁছতে পারলেন না তিনি। গ্রিনরুম থেকেই ফিরে যেতে হল তাঁকে। 

Reported By: শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায় | Updated By: Jan 28, 2020, 02:16 PM IST
অভিজিতের ডিলিট শংসাপত্রে সই করেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছাড়লেন রাজ্যপাল

নিজস্ব প্রতিবেদন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ছাত্রদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে কার্যত ফিরে যেতে বাধ্য হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন তিনি। এরপরই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। পুলিসি তৎপরতায় রাজ্যপালকে কোনও মতে গ্রিনরুমে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হল না। ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ এড়িয়ে মঞ্চে পৌঁছতে পারলেন না ধনখড়। গ্রিনরুম থেকেই ফিরে যেতে হল তাঁকে। 

আরও পড়ুন: রাজ্যপালকে ঘিরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রবল বিক্ষোভ, উপাচার্যের কাতর অনুরোধেও অনড় পড়ুয়ারা

সমাবর্তন অনুষ্ঠান ছাড়ার পর টুইটও করেছেন রাজ্যপাল, জানিয়েছেন, নজরুল মঞ্চ ছেড়ে আসার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই ডিলিটে সই করে এসেছেন তিনি। পাশাপাশি টুইটে নোবেল জয়ী অভিজিৎকে শুভেচ্ছা বার্তাও জানিয়েছেন তিনি। 

এ দিন রাজ্যপালকে ঘিরে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি শুরু হয়ে যায় নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানে। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ রাজ্যপালের গাড়ি নজরুল মঞ্চের গেটের সামনে পৌঁছাতেই গাড়ি ঘিরে ধরেন পড়ুয়ারা। চলতে থাকে 'গো ব্যাক' স্লোগান। প্ল্যাকার্ড নিয়ে কয়েকশো পড়ুয়া গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বেশ কিছুক্ষণ বাদে নজরুল মঞ্চে প্রবেশ করলেও বিক্ষোভ থামেনি। তীব্র প্রতিবাদ চলতে থাকে হলের ভিতরে। মঞ্চের সামনে পোস্টার, হাততালি আর স্লোগানে সোচ্চার হয়ে ওঠেন প্রতিবাদীরা। 

আরও পড়ুন: নিজের জেলাতেই এবার থেকে পোস্টিং পাবেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা, বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

নাগরিকপঞ্জীর প্রতিবাদে ঘণ্টাখানেক ধরে চলা পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন নোবেল জয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অশান্তির মাঝেই নজরুল মঞ্চে প্রবেশ করেন অভিজিৎ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উপাচার্যকে মঞ্চে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে কাতর অনুরোধ জানাতে দেখা যায়। যদিও, তাতেও বরফ গলেনি। উপাচার্যের আহ্বানের মাঝেই বিক্ষোভের সুর চড়াতে দেখাতে থাকেন পড়ুয়ারা। শেষে উপাচার্য মঞ্চ থেকেই আশ্বাস দেন, রাজ্যপাল অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না। শেষমেষ, দেড়টা নাগাদ সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে রাজ্যপাল মঞ্চে যেতে পারেননি। তাঁকে ফিরে যেতে হয়েছে। এরপরই চেনা ছন্দে ফিরে শুরু হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান। 

.