শিশু মৃত্যু মিছিল সামনে আনল এসএনসিইউ প্রহসন
বিসি রায় হাসপাতালে শিশু মৃত্যু মিছিল আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাজ্যের শিশু চিকিত্সা পরিকাঠামো নিয়ে। শুধু বি সি রায় নয়। শিশু চিকিতসার বেহাল দশা অন্য সরকারি হাসপাতালেও। উদ্বোধনের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১০০ শয্যার এসএনসিইউ। চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ রিপোর্ট।
বিসি রায় হাসপাতালে শিশু মৃত্যু মিছিল আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে রাজ্যের শিশু চিকিত্সা পরিকাঠামো নিয়ে। শুধু বি সি রায় নয়। শিশু চিকিতসার বেহাল দশা অন্য সরকারি হাসপাতালেও। উদ্বোধনের মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ১০০ শয্যার এসএনসিইউ। চব্বিশ ঘণ্টার বিশেষ রিপোর্ট।
চলতি বছর ২৮ জানুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ১০০ শয্যার এসএনসিইউ চালু করে স্বাস্থ্য দফতর। উদ্বোধন হয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তৃণমূলের চিকিত্সক নেতা নির্মল মাজির হাত দিয়ে। কিন্তু উদ্বোধনই সার। চালু হতে না হতেই মুখ থুবড়ে পড়ল মেডিক্যালের এসএনসিইউ। সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট চালুর আগে, মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে ৩৫টি শয্যা ছিল। যার মধ্যে ৫ টি পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, ১০ টি সংক্রমিত শিশুদের এবং ২০টি সাধারণ শয্যা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে রাতারাতি এসএনসিইউ তৈরি করতে গিয়ে হাসপাতাল থেকে বেমালুম উধাও শিশু বিভাগের ৩৫টি বেড। এই ৩৫টি বেডকে ধরেই উদ্বোধনের দিন কুমির ছানা দেখানোর মতো একশো বেডের এসএনসিইউ-র উদ্বোধন হয় বলে অভিযোগ।
কিন্তু এখানেও বিপত্তি। সরকারের দাবি আছে ১০০টি বেড, যদিও বাস্তবে রয়েছে মাত্র ৬০টি। সএনসিইউয়ের জন্য বরাদ্দ মাত্র ৪ জন নার্স। অধিকাংশ দিন আবার সন্ধের পর সংখ্যাটা কমে দাড়ায় ২ জনে। এনএনসিইউ স্পেশালিস্ট আরএমও বলতে মাত্র একজন। এদিকে, রাজ্যের দাবি মেডিক্যালের এসএনসিইউ নাকি এশিয়ার বৃহত্তম। সেই বিশ্বমানের এসএনসিইউতে ভেন্টিলেটর মাত্র দুটি। উদ্বোধনের সময় ২টি ভেন্টিলেটর ধার করে আনা হয়েছিল বেলেঘাটা আইডি থেকে। মাস খানেক আগে, সে-দুটিকে ফেরত নিয়েছে আইডি। ৬০ শয্যার এসএনসিইউয়ে রেডিয়্যান্ট ওয়ার্মার আছে মাত্র ১০টি।
স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি নতুন সরকারের আমলে রাজ্যে তৈরি হয়েছে ৩৫টি এনএনসিইউ। খোদ কলকাতার বুকে মেডিক্যাল কলেজে, এনএনসিইউ-র এই হাল প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে রাজ্যের শিশু চিকিতসা পরিকাঠামো নিয়ে। বিসি রায়ে শিশু মৃত্যু মিছিলের জন্য রেফারেল ব্যবস্থাকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। মেডিক্যালের চিত্রই বলে দিচ্ছে এত এসএনসিইউ তৈরি হলেও কেন সারানো যাচ্ছে না ডাক্তারদের রেফার করার অসুখ।