অবসাদে আত্মহত্যা অন্তরার! সুইসাইড নোটের পরীক্ষায় পুলিস

অন্তরার হাতে লেখা চিরকুট। ছোট ছোট চিরকুটে মনের কথা লিখতে থাকেন অন্তরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বামীর পরকীয়া ও সন্তানহীনতা। জোড়া অবসাদই কাল হল অন্তরার। সুইসাইড নোট মিলতেই আত্মহত্যার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। স্বামী সুরজিতের স্বীকারোক্তিতে খোলসা হয়েছে অন্তরার বন্ধুর ভূমিকাও। সুইসাইড নোট অন্তরার কিনা তা জানার অপেক্ষায় পুলিস। অপেক্ষা ময়নাদতন্তের রিপোর্টেরও।

বাগুইআটির গৃহবধূ অন্তরার হাতে লেখা চিরকুট। আর সেই চিরকুট নাগালে পেয়ে তদন্তের জাল অনেকটাই গুটিয়ে আনতে সক্ষম হলেন তদন্তকারীরা। একাধিক সূত্র। একাধিক সম্ভাবনা। সবকিছুকে একসূত্রে বেঁধে তদন্তকারীরা মোটামুটি নিশ্চিত, আত্মহত্যাই করেছেন অন্তরা।

দিনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ। রাতে ফের জেরা। সেখানেই বেরিয়ে আসে নয়া ক্লু। আর সেই ক্লু থেকেই তদন্তের আরও গভীরে চলে যান গোয়েন্দারা। অন্তরার পুরুষ বন্ধু নিয়ে যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, তাও খোলসা হয়ে যায় সুরজিতের স্বীকারোক্তিতে। এক মহিলার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ায় সুরজিত। একদিকে সন্তানহীনতার অবসাদ, অন্যদিকে স্বামীর পরকীয়া। ক্রমশ আরও অবসাদে চলে যেতে থাকেন অন্তরা।

রাত জেগে  মহিলার সঙ্গে চ্যাট করত সুরজিত। মহিলাকে অন্য অফিস থেকে নিজের অফিসে নিয়ে আসে স্বামী। স্বামীর পরকীয়া ক্রমেই ফাঁস হয়ে যায় অন্তরার কাছে। অবসাদে নিজের প্রাক্তন সহকর্মী বন্ধুকে সব বলেন অন্তরা। সঙ্গে ছোট ছোট চিরকুটে লিখতে থাকেন মনের কথা। অন্তরার বন্ধু পরিচিতির সুবাদে বোঝানোর চেষ্টা করেন সুরজিতকে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

সূত্রের খবর, পুলিসি জেরায় সবটাই স্বীকার করে নিয়েছে সুরজিত। মানসিক অবসাদেই আত্মহত্যা, এই সম্ভাবনাই জোরালো হয়ে উঠেছে পুলিসের সামনে।