ধর্মঘটে স্তব্ধ মহানগর

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের ওপর ভর্তুকীর নিয়ন্ত্রণ এবং এফডিআইয়ের প্রতিবাদে বামেদের ডাকে বারো ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট এবং বিজেপির দশ ঘণ্টা বনধে প্রায় শুনশান শহর কলকাতার রাস্তা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার রাস্তায় সরকারি বাস চললেও তাতে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম। বেসরকারি বাস নেই বললেই চলে। ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আজ থেকে বাহাত্তর ঘণ্টা ট্যাক্সি ধর্মঘটে সামিল হয়েছে একাধিক ট্যাক্সি সংগঠন।

Updated By: Sep 20, 2012, 07:28 AM IST

ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের ওপর ভর্তুকীর নিয়ন্ত্রণ এবং এফডিআইয়ের প্রতিবাদে বামেদের ডাকে বারো ঘণ্টার সাধারণ ধর্মঘট এবং বিজেপির দশ ঘণ্টা বনধে প্রায় শুনশান শহর কলকাতার রাস্তা। উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার রাস্তায় সরকারি বাস চললেও তাতে যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম। বেসরকারি বাস নেই বললেই চলে। ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে আজ থেকে বাহাত্তর ঘণ্টা ট্যাক্সি ধর্মঘটে সামিল হয়েছে একাধিক ট্যাক্সি সংগঠন। ফলে শহরের রাস্তায় ট্যাক্সিও চলছে সামান্য। মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক থাকলেও তাতে যাত্রী সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। আজ সকাল থেকে বেশিরভাগ দোকানপাট খোলেনি। ধর্মঘটের সমর্থনে বেশ কয়েকটি জায়গায় মিছিল বের করে বাম এবং বিজেপি।
 
হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশনেও চিত্রটা একই। কিছু ট্রেন চললেও দেখা নেই যাত্রীদের। রাজ্যের অনান্য জায়েগাতেও ব্যাপক সাড়া। প্রভাব পড়েছে দমদম বিমানবন্দরে। সকাল থেকেই অন্যদিনের কর্মব্যস্ততার ছবি চোখে পড়েনি বিমানবন্দরে। ট্যাক্সি ছিল না বললেই চলে। সকাল থেকে দুটি বিমান বাতিল করা হয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে গাড়ি-বাস প্রায়  ছিল না। যাত্রীরা অনেকেই কাল রাতে বিমান বন্দরে চলে এসেছিলেন। বিমান বন্দরের বাইরেও যথেষ্ট গাড়ি চোখে পড়েনি।
ব‍ন‍্‍ধে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে রাজ্যের শিল্পাঞ্চল গুলিতেও। দুর্গাপুর, আসোনসোলের পাশাপাশি স্তব্ধ তারাতলা
শিল্পাঞ্চলও। কারখানার গেটে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে সিটু। পিকেটিং করে বিক্ষোভ
দেখাচ্ছেন শ্রমিকরা। ধর্মঘটে অনুপস্থিতি নিয়ে বরখাস্তের হুমকি জারি করেছে
কর্তৃপক্ষ। রয়েছে বেতন কাটার নির্দেশও।
এফডিআই, ডিজেলের দামবৃদ্ধি, রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারে ভর্তুকি ছাঁটাইয়ের বিরোধিতায় বৃহস্পতিবার ১২ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। ধর্মঘট সর্বাত্মক হওয়ার বিষয়ে আশাবাদী বামেরা। কিন্তু ধর্মঘট নিয়ে শুরু হয়েছে চাপান-উতোর। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, যেকোনও মূল্যে রাজ্যকে সচল রাখবে তাঁর সরকার। ধর্মঘটের বিরোধিতায় রাস্তায় নামবে। ধর্মঘটের দিন কোনওরকম অশান্তির জন্য রাজ্য সরকার দায়ী থাকবে বলে পাল্টা তোপ দেগেছে বামফ্রন্ট। একধাপ এগিয়ে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা তৃণমূলকেও ধর্মঘট সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

.