সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার হরণের অভিয়োগ তুলল বন্দিমুক্তি কমিটি
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণের অভিয়োগ তুলল বন্দিমুক্তি কমিটি। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাস এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুজাত ভদ্র।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার হরণের অভিয়োগ তুলল বন্দিমুক্তি কমিটি। এই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছোটন দাস এবং কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুজাত ভদ্র। এঁরা দুজনই রাজ্য সরকার নিযুক্ত মধ্যস্থতা কমিটির সদস্য। তাঁদের এই ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। এদিকে জঙ্গলমহলে যৌথবাহিনী প্রত্যাহার এবং বন্দি মুক্তি নিয়ে মেট্রো চ্যানেলে এপিডিআর সহ একুশটি সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতিও আটকে দেওয়া হল পুলিসের তরফে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মধ্যস্থতাকারীদের এবং সরকারের মধ্যে কী এবার সরাসরি সংঘাত শুরু হল।
পুরুলিয়ায় পুলিসের গুলিতে নিহত হয়েছিল মাওবাদীদের দুই স্কোয়াড সদস্য। সেই ঘটনার তদন্ত দাবি করল বন্দি মুক্তি কমিটি। একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, আইজি গঙ্গেশ্বর সিং সহ অন্য পুলিস কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা শুরু করার দাবিও তুলল এই সংগঠন। ব্যক্তি ও সংগঠনের নাম করে মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি এবং সাংসদদের উস্কানিমূলক বক্তৃতার অভিযোগ তুলে তারও প্রতিবাদ করা হয়েছে কমিটির তরফে। এই বন্দি মুক্তি কমিটিতেই রয়েছেন, সুজাত ভদ্র-ছোটন দাস। দুজনেই আবার রাজ্য সরকার নিযুক্ত মধ্যস্থতা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। কমিটির এই বিবৃতির মাধ্যমে এটা পরিস্কার, তারা এবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যেতে চলেছে। দুদিন আগেই মধ্যস্থতাকারীরা রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে তাঁদের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চেয়েছেন। শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হওয়ার কথা। তার আগে এই বিবৃতি ইতিমধ্যেই অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এদিকে জঙ্গলমহল থেকে যৌথবাহিনী প্রত্যাহারের দাবিতে এপিডিআর সহ একুশটি সংগঠনের ডাকে আগামী তেইশ এবং চব্বিশে নভেম্বর অনশন কর্মসূচি নেওয়া হয়। মেট্রো চ্যানেলে সেই কর্মসূচি করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিস।