বেলেঘাটায় দু-মাসের সন্তানকে কীভাবে খুন, পুলিসের জেরায় কবুল মা-এর
আশপাশের ২০টি সিসিটিভি দেখেও সন্ধ্যাদেবীর বলা সময় অর্থাৎ সাড়ে বারোটা থেকে ১টা তাই পর্যন্ত কোনও সাদা ট্রাউসার পড়া যুবককে ওই আবাসনের আশপাশেও দেখা যায়নি। এতেই পুলিসের সন্দেহ দৃঢ় হয়
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেলেঘাটার হাড়হিম ঘটনা ইতিমধ্যেই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। সন্তানকে মুখে গলায় সেলোটেপ জড়িয়ে খুন করে মা নিজেই। কী কারণে মা-এর এই নৃশংস কাজ তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গতকাল শিশু অপহরণের খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিস, এরপরই মা সন্ধ্যা জৈনের বয়ানে একাধিক অসংগতি লক্ষ্য করে পুলিস। জেরা আরও জরালো হয়। তদন্তের স্বার্থে একটি বিশেষ দল তৈরি করেছে বেলেঘাটা থানা।
বয়ানের পর্যায়ক্রম
মা-এর বয়ানে প্রথমে স্কেচ আঁকানো হয় অপহরণকারীর। অপহরণকারীর স্কেচ কল্পনাপ্রসূত ছিল বলেই সন্দেহ হয় পুলিসের।
আশপাশের ২০টি সিসিটিভি দেখেও সন্ধ্যাদেবীর বলা সময় অর্থাৎ সাড়ে বারোটা থেকে ১টা তাই পর্যন্ত কোনও সাদা ট্রাউসার পড়া যুবককে ওই আবাসনের আশপাশেও দেখা যায়নি। এতেই পুলিসের সন্দেহ দৃঢ় হয় যে সন্ধ্যাদেবী মিথ্যে বলছে। টানা জেরাতে শেষ পর্যন্ত খুনের কথা কবুল করে সন্ধ্যা জৈন।
সন্ধ্যার বয়ান অনুযায়ী, প্রথমে ড্রইংরুমের থেকে সেলোটেপ নিয়ে শিশুর গলায় অবং মুখে বেঁধে দেন সন্ধ্যা। শ্বাসরোধ হয়ে শিশুর মৃত্যু হলে আবাসনের পিছনে ড্রাই ম্যানহোল এ ফেলে আসেন দেহ।
আয়া তখন ছাদে ছিলেন। শিশুকে ফেলে এসে ড্রইং রুমে ফ্রিজের সামনে ফের শুয়ে পড়েন। শ্বশুর ঢুকলেই অপহরণ এর গল্প ফাদেঁন তিনি।