কন্যাসন্তানের জেরেই মানসিক অবসাদ নাকি পরকীয়া, রহস্য দানা বাঁধছে বেলেঘাটা খুনে
গতকাল শিশুর অপহরণের খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায় বেলেঘাটা এলাকায়।
নিজস্ব প্রতিবদন: অপহরণ হয়নি শিশু, মা নিজে সন্তানকে হত্যা করে মৃতদেহ ফেলে দেয় আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্কে। জানা গিয়েছে, প্রথমে সেলোটেপ দিয়ে নাকমুখ বন্ধ করে দেওয়া হয় শিশুর এরপরেই শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় সে। খুনের কথা লুকোতেই অপহরণের নাটক। বেলেঘাটা অপহরণ কাণ্ডে উঠে এল এমন ভয়াবহ সত্য। গতকাল শিশুর অপহরণের খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায় বেলেঘাটা এলাকায়।
আরও পড়ুন: লালগড়ে মধ্যরাতে জ্বালিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল কর্মীর বাড়ি, বরাত জোরে বাঁচল একরত্তিরা
পুলিসের কাছে অভিযোগ করা হয়েছিল, মাকে মারধর করে দু মাসের কন্যাসন্তানকে তুলে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। সেই মত তদন্ত শুরু করে পুলিস। কিন্তু মায়ের বয়ানে একের পর এক অসঙ্গতি দেখে মা সন্ধ্যা জৈনকে জেরা করতে শুরু করে পুলিস। রাত্রের দিকে পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে নিখোঁজ শিশুর মা। জানায় সে নিজেই দু-মাসের কন্যাসন্তানকে গলা টিপে হত্যা করেছে। এরপরেই আবাসনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় দুধের শিশুর দেহ। মা সন্ধ্যা জৈনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
আরও পড়ুন: রাত থেকে নিখোঁজ, সকালে কুয়োর মধ্যে থেকে উদ্ধার দেড়মাসের শিশুকন্যার নিথর দেহ
কেন খুন? তা এখনও পরিস্কার নয় তদন্তকারীদের কাছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিসের অনুমান বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের জেরে সন্তানকে খুন করা হয়েছে। তবে পোস্ট ডেলিভারি ডিপ্রেশনের জন্যও এই নৃশংসতা কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে মনোবিদদের সাহায্য নিচ্ছে পুলিস।