আলিমুদ্দিনের নেতাকে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সোমনাথ পুত্র প্রতাপ! বিনয় দেখালেন বিমান
সোমনাথের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার কিন্তু একরকম ফিরিয়েই দিল সিপিএমকে। চরম বিড়ম্বনায় পড়লেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবার বিকেলে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র। এরপর ওপরের ঘরে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী রেণু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান বিমান বসু। তিনি নেমে আসার সময় রীতিমতো চিত্কার শুরু করে দেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে প্রতাপ চট্টোপাধ্যায়।
‘বিচ্যুত সোমনাথকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত সঠিক’, বলেছিলেন কারাত
বিমান বসুকে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। অভিযোগ করেন, বাবাকে ব্যবহার করার পর লোক দেখাতে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন বিমান। পুলিস দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার কথাও বলেন প্রতাপ। সুজন চক্রবর্তী, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলেকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণ পর সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে ফের বাড়িতে ঢোকেন বিমান বসু। ইয়েচুরি যখন সোমনাথকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, তখন ফের ক্ষোভ উগরে দেন প্রতাপ।
অভিমান-যন্ত্রণার রেশ, সিপিএম-এর পতাকা ফেরালেন সোমনাথ জায়া
বিমান বসু আসুন, আমি চাই না। সেলিম গালি দিয়েছেন আমার বাবাকে, এত বড় আস্পর্ধা। এরপর দোতলার ঘরে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সঙ্গে যখন ইয়েচুরি দেখা করতে যান তখন বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিমান বসু।
‘অন্য দলে গেলে স্ত্রী ডিভোর্স দিত’
যদিও বিনয় প্রদর্শন করে বর্ষীয়ান বাম নেতা বিমান বসু এএনআই-কে জানিয়েছেন, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে প্রতাপের এমন আচরণে এটতুকুও খারাপ লাগেনি তাঁর। “বাবার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে”, প্রতিক্রিয়া বিমাব বসুর।
I don't mind his behaviour. He is completely broken by the loss of his father. He was actually not liked by his father also: Biman Bose, former CPM state chief on reports that he was asked by #SomnathChatterjee's son to leave when he went to pay his tribute. #WestBengal pic.twitter.com/Nhcvu6JzmB
— ANI (@ANI) August 13, 2018
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ আলিমুদ্দিনে যায়নি। কেউ গায়ে জড়িয়ে দেননি লাল পতাকা। তাঁরাই চাননি শেষসময়ে এসব হোক। সিপিএমের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সোমনাথ কন্যা। দলের প্রতি অভিমান ছিল। বিতাড়িত হয়েও ভালবাসাটা যায়নি আজীবনের বামপন্থীর। সোমনাথের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার কিন্তু একরকম ফিরিয়েই দিল সিপিএমকে। চরম বিড়ম্বনায় পড়লেন আলিমুদ্দিনের নেতারা।