চিন্তন বৈঠক সেরে ফেরার পথে তৃণমূলের হাতে ঘেরাও বিজেপি, ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে টনক নড়ল প্রশাসনের
ফের তৃণমূলের দাদাগিরি। চিন্তন বৈঠক সেরে ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের হাতে ঘেরাও হয়ে গেলেন বিজেপি নেতারা। শেষপর্যন্ত রাজ্য নেতাদের বকুনি খেয়ে উঠল বিক্ষোভ। দুদিনের চিন্তন বৈঠক সেরে দিল্লি ফিরলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। বৈঠক হল কিন্তু স্পষ্ট হল না বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতির নাম।
জনসভা নয়। নেহাতই দলের কর্মসূচি। দুদিনের চিন্তন বৈঠকের শেষে রাডিসন ফোর্ট ছাড়ছিলেন বিজেপি নেতারা। আচমকাই তাঁদের ঘিরে ফেললেন তৃণমূল কর্মীরা। সিদ্ধার্থ নাথ সিং, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, চন্দন মিত্র, রামলাল। আটকে পড়েন সব বড় নেতা। বিক্ষোভকারীদের সামনে হাতজোড় করে কোনও রকমে ছাড়া পান চন্দন মিত্র ও রামলাল। কিন্তু, আচমকা বিক্ষোভ কেন? ২৪ ঘণ্টায় খবর সম্প্রচারের পর নড়েচড়ে বসেন কলকাতার তৃণমূল নেতারা। ফোন যায় জেলা নেতাদের কাছে। প্রায় আধঘণ্টা আটকে থাকার পর ছাড়া পান বিজেপি নেতারা। ২০১৬ ভোটকে পাখির চোখ করে এগোবে বিজেপি। দুদিনের চিন্তন বৈঠকে রাজ্য নেতাদের তেমনই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় নেতারা। জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তবে, রাহুল সিনহার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পরবর্তী সভাপতি কে তানিয়ে কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেননি কেন্দ্রীয় নেতারা।