CAA in Bengal: 'ডিসেম্বরের মধ্যে এ রাজ্যে সিএএ লাগু হবে, মুখ্যমন্ত্রী কিচ্ছু করতে পারবেন না'
CAA in Bengal: অসীম সরকার বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বাধা দিয়ে কিচ্ছু করতে পারবেন না। কারণ তিনি মুসলমান ভাইদের ভুল বুঝিয়েছেন। বহু শিক্ষিত মুসলমান এখন বুঝতে পেরেছেন যে আমরা ভারতীয় নাগরিক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসিনি।"
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ফের সিএএ (CAA) কার্যকর করা নিয়ে সরব হলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক অসীম সরকার (Asim Sarkar)। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্য়ে সিএএ কার্যকর হবে বলে জানালেন তিনি। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে, তিনি নাকি এই বার্তাই পেয়েছেন। কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে হরিণঘাটার বিধায়কের বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী কিচ্ছু করতে পারবেন না।" এই প্রথম নয়, আগে একাধিকবার সিএএ ইস্যুতে মুখ খুলেছেন অসীম সরকার। সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অতিম শাহের (Amit Shah) সঙ্গে দেখা করেও এই ইস্য়ুতে আলোচনা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
শুক্রবার জি ২৪ ঘণ্টাকে অসীম সরকার বলেন, "সিএএ কার্যকর হবেই এবং শীঘ্রই হবে। এই বছরের মধ্যেই হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে হবে। শীর্ষ নেতৃত্বের থেকে যে খবর পেয়েছি, তার ভিত্তিতেই বলছি। খসড়া তৈরি হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাধা দিয়ে কিচ্ছু করতে পারবেন না। কারণ তিনি মুসলমান ভাইদের ভুল বুঝিয়েছেন। বহু শিক্ষিত মুসলমান এখন বুঝতে পেরেছেন যে আমরা ভারতীয় নাগরিক, আফগানিস্তান, পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসিনি।" সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বারষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রায় ৪৫ মিনিট দু'জনের মধ্যে আলোচনা হয়। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে শুরু করে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের ১০০ জন দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার তালিকা নাকি শুভেন্দু শাহের হাতে তুলে দিয়ে এসেছেন। একই সঙ্গে বিরোধী দলনেতা নিজে দাবি করেন, "২০২৩ সালের প্রথম দিক থেকেই রাজ্যে সিএএ লাগুর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এমনই আশ্বাস দিয়েছেন।" অর্থাৎ পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রাজ্যে সিএএ লাগুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Mamata-Modi Meet: রাজধানীতে মোদী-মমতা বৈঠক! দেশের নজরে দিল্লি
প্রসঙ্গত, আগেও সিএএ এবং এনআরসি কার্যকরের দাবি তুলেছিলেন হরিণঘাটার বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকার। তিনি বলেন, "সিএএ বিল যখন পাস হয়েছে, আইনে পরিণত হয়েছে, তখন লাগু হবেই। এই বিশ্বাস আমাদের আছে বলেই তো ভারতীয় জনতা পার্টির মধ্যে রয়েছি। যদি বিল লাগুই না হয়, তাহলে উদ্বাস্তুরা বিজেপি থেকে সরে যাবে এবং ২৪ সালের আগে যদি এটা লাগু না হয়, আমি একটা ভোটের জন্য মানুষের কাছে গিয়ে জোড় হাত করে বলতে পারব না যে বিজেপিকে ভোট দাও।"
তার আগে সিএএ ইস্যুতে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন অমিত শাহ। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তিনি। শাহ সাফ বলেন, "মমতাদিদি আপনি তো চান অনুপ্রবেশ চলতে থাকুক। কিন্তু কান খুলে শুনে রাখুন শরণার্থীদের নাগরিকত্ব আমরা দেবই। আপনি কিচ্ছু করতে পারবেন না। সিএএ লাগু হবেই, কেউ আটকাতে পারবে না।" কবে লাগু হবে সিএএ? অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, "সিএএ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস গুজব রটাচ্ছে। বলছে, বাস্তবে কোনও দিন সিএএ লাগু হবে না। আমি আজ বলে যাচ্ছি, করোনার ঢেউ শেষ হলেই, বাস্তবে সিএএ লাগু হবে।"
(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)