জয়েন্টে সেরা দশে নেই সরকারি বা সরকার অধিগৃহীত স্কুলের নাম, খামতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারিং এর মেধাতালিকায় প্রথম দশে নাম নেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীন কোনও স্কুল পড়ুয়ার। প্রায় একই দশা মেডিক্যালের ক্ষেত্রেও। কেন মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পারলেন না রাজ্যের বোর্ডের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা? কোথায় রয়েছে খামতি? এনিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারিং এর মেধাতালিকায় প্রথম দশে নাম নেই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীন কোনও স্কুল পড়ুয়ার। প্রায় একই দশা মেডিক্যালের ক্ষেত্রেও। কেন মেধাতালিকায় জায়গা করে নিতে পারলেন না রাজ্যের বোর্ডের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা? কোথায় রয়েছে খামতি? এনিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে এবছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল। জয়েন্টের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মেধাতালিকায় প্রথম দশে কিন্তু ঠাঁই হয়নি রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনস্থ স্কুলের কোনও ছাত্র বা ছাত্রীর। একনজরে দেখে নেওয়া যাক প্রথম দশে কাদের নাম রয়েছে.....
ইঞ্জিনিয়ারিংএ প্রথম হয়েছেন দুর্গাপুর ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র জ্ঞানেশ গুপ্তা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র বিনায়ক তাঁতিয়ার। দুর্গাপুর হেমশিলা মডেল স্কুলের ছাত্র মৌসম রায় তৃতীয় হয়েছেন। বেহালার ডিএভি পাবলিক স্কুলের রাশিস রাজেন্দ্র সিঙ্ঘি চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। দমদম সেন্ট স্টিফেন্স স্কুলে ছাত্র নভনীত আগরওয়াল পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন। দুর্গাপুর ডিএভি মডেল স্কুলের ছাত্র অর্কপ্রভ সাহা ষষ্ঠ স্থান পেয়েছেন। বিড়লা হাইস্কুলের ছাত্র রাহুল কেজরিওয়াল সপ্তম স্থানে রয়েছেন। ডিএভি মডেল স্কুলের সায়ন ঘোষ অষ্টম স্থান পেয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মহতি জুনিয়র কলেজের ছাত্র আশুতোষ কুমার ঝা নবম স্থান অধিকার করেছেন। দশম হয়েছেন দুর্গাপুর ডিএভি মডেল স্কুলের অশ্রুজিত্ ঘোষাল।
মেডিক্যালের মেধাতালিকায় অবশ্য উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অধীনস্থ গুটি কয়েক স্কুলের কয়েকজন ছাত্রের নাম রয়েছে। জাতীয়স্তরের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয় বলে দাবি করে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী শিক্ষা সংসদের অধীনস্থ স্কুলের পাঠ্যক্রম বা পড়ানোর পদ্ধতিতে বড়সড় ফারাক থেকে যাচ্ছে? এই সব পরীক্ষায় যেসমস্ত বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে মেধার পরিমাপ করা হয় সেইসব বিশষয় কী তাহলে নেই পাঠ্যসূচিতে? দেখা যাচ্ছে যাঁদের নাম মেধাতালিকায় উঠেছে তাঁদের বেশিরভাগই স্কুলের বাইরে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে মোটা টাকার বিনিময়ে জয়েন্টের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। যেখানে গ্রামের অধিকাংশ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদেরই কোচিং সেন্টারে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সামর্থ নেই। তাহলে কী কোচিং সেন্টারগুলিতে প্রশিক্ষণ নিলে তবেই নাম উঠবে জয়েন্টের মেধাতালিকায়? রাজ্যের বোর্ডের স্কুলে পড়লে কী হবে না স্বপ্নপূরণ? এবারের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পর কিন্তু প্রাসঙ্গিক হয়ে দেখা দিচ্ছে এইসব প্রশ্ন।