সারদার সম্পত্তি আত্মসাতে তৃণমূলের ৬ সাংসদ? ইঙ্গিত মিলছে ইডির চার্জশিটে

রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরাই কি আত্মসাত্ করেছে সারদার প্রায় পাঁচশো কোটি টাকা? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত মিলছে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে তৃণমূলের অন্তত ছয় সাংসদ, এক প্রাক্তন পুলিসকর্তা ও প্রায় এক ডজন প্রভাবশালীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

Updated By: Jun 6, 2014, 02:52 PM IST

রাজনীতিবিদ ও প্রভাবশালীরাই কি আত্মসাত্ করেছে সারদার প্রায় পাঁচশো কোটি টাকা? এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর ইঙ্গিত মিলছে। সূত্রের খবর, চার্জশিটে তৃণমূলের অন্তত ছয় সাংসদ, এক প্রাক্তন পুলিসকর্তা ও প্রায় এক ডজন প্রভাবশালীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

প্রথম চার্জশিটে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায়, শুভজিত্ সেন ও পিয়ালি সেনকে অভিযুক্তের তালিকায় রাখা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে। তবে এখনই তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ কুণাল ঘোষকে ক্লিনচিট দিচ্ছে না ইডি। কুণাল ছাড়াও আরও পাঁচ সাংসদ যাঁদের মধ্যে দুজন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সন্দেহভাজন হিসেবে এক প্রাক্তন পুলিস কর্তারও নাম থাকছে। এঁদের বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট দেওয়ার রাস্তা খোলা রাখছে ইডি।

জুনের শেষে বা জুলাই মাসের শুরুতে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট তিন ও চার ধারায় সারদা কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট দেবে ইডি। রাজ্যের হাতে থাকা ছটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত করেই এই চার্জশিট দিচ্ছে ইডি। দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড। ইডির চার্জশিটে হদিশ থাকছে ভিন রাজ্যে সারদার সম্পত্তির। এখনও পর্যন্ত হদিশ পাওয়া সম্পত্তির আনুমানিক বাজার দর আড়াইশো কোটি টাকা, যা কিনতে সুদীপ্তর খরচ হয় একশো কোটি টাকা।

ইডির সম্ভাব্য চার্জশিট-

জুনের শেষে বা জুলাই মাসের শুরুতে চার্জশিট
প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট তিন ও চার ধারায় চার্জশিট
রাজ্যের হাতে থাকা ছটি এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত করেই চার্জশিট
দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর সশ্রম কারাদণ্ড
চার্জশিটে হদিশ ভিন রাজ্যে সারদার সম্পত্তির
হদিশ পাওয়া সম্পত্তির আনুমানিক বাজার দর আড়াইশো কোটি টাকা, যা কিনতে সুদীপ্তর খরচ হয় একশো কোটি টাকা]

ইডির হিসাবে অন্তত ছশো কোটি টাকার কোনও হদিশ পাওয়া যায়নি ফরেনসিক অডিটে। কিন্তু বর্তমান বাজার মূল্য ধরলে এই টাকার পরিমাণ প্রায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকা। তার মধ্যে মাত্র আড়াইশো কোটি টাকার হিসেব মিলছে। তাও অসম্পূর্ণ। এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে বাকি সাড়ে পাঁচশো কোটি টাকা কোথায় গেল? উত্তর দিতে পারেনি ইডি। তাঁদের চার্জশিটে ইঙ্গিত থাকছে, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ফলে হদিশ নেই এই অর্থের। ইডির দাবি, সারদা কাণ্ডে ষড়যন্ত্রের হদিশ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমস্ত তথ্যই তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে।

.