রাজ্যে গণতন্ত্র খর্ব হচ্ছে, সরব বুদ্ধ-বিমান

রাজ্যে গণতন্ত্র খর্ব হচ্ছে। আঘাত নেমে আসছে সাধারণ মানুষের অধিকারের ওপর। গণশক্তি পত্রিকার ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রত্যেকেরই অভিযোগ, সব বিষয়েই চরম অসহিষ্ণুতার মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতিহিংসার রাজনীতির বাড়বাড়ন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মানসিকতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। সিপিআইএমের দলীয় মুখপত্র গণশক্তির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।

Updated By: Jan 4, 2013, 10:01 PM IST

রাজ্যে গণতন্ত্র খর্ব হচ্ছে। আঘাত নেমে আসছে সাধারণ মানুষের অধিকারের ওপর। গণশক্তি পত্রিকার ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব। সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু থেকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রত্যেকেরই অভিযোগ, সব বিষয়েই চরম অসহিষ্ণুতার মনোভাব দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রতিহিংসার রাজনীতির বাড়বাড়ন্তের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর মানসিকতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। সিপিআইএমের দলীয় মুখপত্র গণশক্তির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব।  দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেন, রাজ্যে যাতে কোনও নির্বাচিত সংস্থা গড়ে উঠতে না পারে, তার চেষ্টা চলছে।
 
বিমান বসুর অভিযোগ, কোনও ঘটনা ঘটলেই তা ছোট ঘটনা বলে দায় এড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, গণতন্ত্রের কথা বলে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখন তারাই গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে।  বাংলায় নৈরাজ্য চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বক্তব্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বিরোধীদের কণ্ঠরোধের প্রসঙ্গ। সিপিআইএম নেতৃত্বের অভিযোগ, শাসকদল চরম অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। কোনও সমালোচনা বা বিরোধিতাই তারা সহ্য করতে পারছে না। সেকারণেই জেলায় জেলায় সংঘর্ষের ঘটনা এত বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সিপিআইএম নেতৃত্বের।
 
রাজ্যে চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্তের বিরুদ্ধে সরব বুদ্ধদেব--
চিটফান্ড সংস্থাগুলির বাড়বাড়ন্তে রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে স্বল্প সঞ্চয়। দলীয় মুখপত্র গণশক্তির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বাম আমলে স্বল্প সঞ্চয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম স্থানে ছিল পশ্চিমবঙ্গ। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৯-১০ সালে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প জমা পড়েছিল প্রায় ৭,৯৯০ কোটি টাকা। নিয়ম অনুযায়ী সম পরিমান টাকাই কেন্দ্রের কাছে ঋণ পেয়েছিল রাজ্য সরকার। পরের বছর, অর্থাত্‍ ২০১০-১১ সালে রাজ্য ঋণ নিতে পেরেছিল ১২,১৯০ কোটি টাকা ছবিটা বদলে যেতে থাকে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই।
 
২০১১-১২ সালে স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত ঋণের পরিমান কমে দাঁড়ায় ১৬৫৮ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে এখনও ঋণ পায়নি রাজ্য সরকার। রাজ্যে চিটফান্ডের বাড়বাড়ন্তকেই এরজন্য দায়ী করছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ বেশি সুদের প্রলোভন দেখাচ্ছে ভুঁইফোড় এই সংস্থাগুলি। ফলে সরকারি স্বল্প সঞ্চয়ে টাকা রাখার প্রবনতা ব্যাপক ভাবে কমে গেছে যা মারাত্মক। তাঁর মতে, ভুঁইফোড় সংস্থাগুলিকে আটকাতে সর্বাত্মক বিরোধিতা জরুরি।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, এই সব সংস্থায় টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। চিটফান্ডগুলি বাড়বাড়ন্ত রুখতে বাম আমলে আইন আনা হলেও, এখনও তা অনুমোদন করেননি রাষ্ট্রপতি। অভিযোগ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
 

.