বাবা-মায়ের ঘর খালি করে চাবি আদালতে জমা দিতে নির্দেশ বিচারপতির
ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ৫ মাস আগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দক্ষিণ হাবরার বাসিন্দা অমলচন্দ্র দাস। অভিযোগ, বাড়ি দখল করে তাঁকে ও তাঁর ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে থাকতে ভাঁড়ার ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন ছেলে জয়। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ঠাঁই হয়নি বাড়িতে। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অমলবাবু। ইতিমধ্যে একাধিকবার ছেলেকে বাড়ির দোতলার ২টি ঘর খালি করে দিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
শ্রাবন্তী সাহা
সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে বাবা-মা ভাঁড়ার ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ছেলে। আদালতের বারবার নির্দেশেও বাবা-মাকে খালি করে দেয়নি ঘর। বৃদ্ধ দম্পতির অসহায় আর্তিতে এবার ছেলেকে ঘরের চাবি আদালতে জমা দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট।
ছেলের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ৫ মাস আগে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দক্ষিণ হাবরার বাসিন্দা অমলচন্দ্র দাস। অভিযোগ, বাড়ি দখল করে তাঁকে ও তাঁর ক্যান্সার আক্রান্ত স্ত্রীকে থাকতে ভাঁড়ার ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছেন ছেলে জয়। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও ঠাঁই হয়নি বাড়িতে। এর পরই আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অমলবাবু। ইতিমধ্যে একাধিকবার ছেলেকে বাড়ির দোতলার ২টি ঘর খালি করে দিতে নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতে ঘর খালি করে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেও আসলে ছেলে তা করেনি বলে শুক্রবার আদালতে জানান অমলবাবু। এর পরই এক সপ্তাহের মধ্যে ছেলেকে ঘরের চাবি আদালতে এসে অমলবাবুর আইনজীবীর হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক।
এয়ারফোর্সের প্রাক্তন কর্মী অমলবাবু ২০১০ সালের শেষে অবসর গ্রহণ করেন। বিধ্বস্ত প্রবীণ বৃদ্ধ ২৪ ঘণ্টাকে জানান, 'অবসরের পর সর্বস্ব দিয়ে ছেলের জন্য দোতলা বাড়ি বানিয়েছি। সেই বাড়িতে এখন আমারই ঠাঁই নেই। অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ভাঁড়ার ঘরে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাকে।' তাঁর দাবি, যাবতীয় গোলমালের সূত্রপাত ছেলের বিয়ের পর থেকে। অভিযোগ, সম্পত্তির দখল নিয়ে ছেলে জয়কে ব্যবহার করে চক্রান্ত করছেন তাঁর মামা শ্বশুর।
আরও পড়ুন - আরও পড়ল পারদ, কলকাতা ১৫.৫, শ্রীনিকেতন ১০.৯
প্রসঙ্গত সম্প্রতি বাবা-মাকে মারধরের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে সস্ত্রীক বাড়ি ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। গত ২ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে ঘর ছাড়তে হয় অত্যাচারী ছেলে প্রশান্ত সাহা ও তাঁর স্ত্রী পম্পা সাহাকে। ছেলে তাঁদের পারিবারিক ব্যবসা দখল করে নিয়েছেন বলে দাবি করেন প্রশান্তর বাবা প্রভাসবাবু।