Lalon Seikh, CBI: লালন মামলায় সিবিআই-কে 'রক্ষাকবচ' হাইকোর্টের...
সিবিআই হেফাজতে বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের রহস্যমৃত্য়ু। ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে রামপুরহাট থানার পুলিস। অভিযুক্তরা সকলেই সিবিআই আধিকারিক।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: লালন মামলায় সিবিআইকে 'রক্ষাকবচ'। 'সিবিআই আধিকারিকদের কড়া পদক্ষেপ নয়', নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, 'তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে সিআইডি। বয়ান রেকর্ড-সহ তদন্ত প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে'।
সিবিআই হেফাজতে কীভাবে মৃত্যু বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্তের? সিআইডি যখন লালন শেখের মৃত্যুর তদন্ত করছে, তখন ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে রামপুরহাট থানার পুলিসও। অভিযুক্তরা সকলেই সিবিআই আধিকারিকরা। বাদ যাননি ডিআইজি, এসপি, এমনকী গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তকারীর অফিসারও। পাল্টা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। এফআইআর স্থগিতাদেশ জারির আর্জি জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সংস্থা।
আরও পড়ুন: Bogtui Massacre | Lalon Seikh: 'ঝুলন্ত অবস্থায় গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের'
এদিকে রামপুরহাট হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয়েছে লালন শেখের। প্রাথমিক রিপোর্ট উল্লেখ,'ঝুলন্ত অবস্থায় গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। খুনের ক্ষেত্রে যেমন আঘাত থাকে, তেমন আঘাতের চিহ্ন নেই শরীরে'। এদিন হাসপাতাল থেকে দেহ নেন লালনের পরিবারের লোকেরা। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় বগটুই গ্রামে। শুধু তাই নয়, গ্রামে যাওয়ার পথে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পের সামনে দেহ নিয়ে ফের বিক্ষোভ দেখানো হয়। সঙ্গে চলে পথ অবরোধও। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।
গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭ জন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামে ধরা পড়ার পর, রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সোমবার অস্থায়ী ক্যাম্পের শৌচাগারে পাওয়া যায় লালনের ঝুলন্ত, বিবস্ত্র দেহ!