Bogtui Massacre | Lalon Seikh: 'ঝুলন্ত অবস্থায় গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের'
রামপুরহাট হাসপাতাল থেকে অবশেষে দেহ নিলেন লালনের পরিবারের লোকেরা। বগটুই গ্রামেই সম্পন্ন হল শেষকৃত্য। গ্রাম নিয়ে যাওয়ার পর দেহ নিয়ে ফের বিক্ষোভ দেখানো হল সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পের সামনে।
প্রসেনজিৎ মালাকার: খুন নয়, আত্মহত্যা? 'ঝুলন্ত অবস্থায় গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু হয়েছে লালন শেখের। খুনের ক্ষেত্রে যেমন আঘাত থাকে, তেমন আঘাতের চিহ্ন নেই শরীরে', উল্লেখ ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে। ঘটনার দিন সিবিআইয়ের ক্যাম্পে কারা ছিলেন? তালিকা তৈরি করছে সিআইডি।
লালন শেখের মৃত্যুতে তপ্ত রামপুরহাট। ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছিল আগেই। এদিন রামপুরহাট হাসপাতালে গিয়ে লালনের দেহ নেন পরিবারের লোকেরা। বগটুই গ্রামেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য়। শুধু তাই নয়, গ্রামে যাওয়ার পথে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্য়াম্পের সামনে দেহ নিয়ে ফের বিক্ষোভ দেখানো হয়। সঙ্গে চলে পথ অবরোধও। বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়ে কোনওমতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস।
গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে খুন হন প্রাক্তন তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। এরপর রাতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭ জন। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। সিবিআই হেফাজতে কীভাবে মৃত্যু? স্রেফ কেস ডায়েরি হস্তাস্তর নয়, এদিন রামপুরহাটে যে অস্থায়ী ক্যাম্পে লালনের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে, সেই ক্যাম্পটি পরিদর্শন করেন সিআইডি-র আইডি সুনীল চৌধুরী। এরপর রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন শহরের একটি গেস্ট হাউসে।
এদিকে লালন শেখের মৃত্যুতে ৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে রামপুরহাট থানা পুলিস। অভিযুক্তেরা সকলেই সিবিআই আধিকারিকরা। বাদ যাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ডিআইজি, এসপি ও গোরুপাচারকাণ্ডের তদন্তকারীর অফিসারও।