সারদাকাণ্ডে ফের জেরা রাজেশকে, বাপির বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ, তদন্তের গতিবিধি খতিয়ে দেখতে সিবিআই কর্তাদের দিল্লিতে তলব
সারদাকাণ্ডে ফের জেরা করা হচ্ছে ব্যবসায়ী রাজেশ বাজাজকে। গতকালের পর আজও সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
কলকাতা: সারদাকাণ্ডে ফের জেরা করা হচ্ছে ব্যবসায়ী রাজেশ বাজাজকে। গতকালের পর আজও সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই গোয়েন্দারা।
মাতঙ্গ সিংয়ের কাছ থেকে সুদীপ্ত সেন NE- বাংলা চ্যানেলের সত্ত্ব কেনার সময় তিনিই মধ্যস্থতা করেছিলেন। সারদাকাণ্ডে ধৃত ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারকে আজ ফের আদালতে তোলা হবে। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁকে জেরা করে আপাতত আর নতুন কিছু জানার নেই গোয়েন্দাদের। তাই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নাও চাইতে পারে সিবিআই। লাল-হলুদ কর্তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নতুন করে আরও বেশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাসি চালানো হতে পারে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গেছে। সারদা কেলেঙ্কারিতে এখনও পর্যন্ত যাঁদের মাথা বলে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একজন, আজ রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
অন্যদিকে, সারদাকাণ্ডে তদন্তের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যের সিবিআই কর্তাদের দিল্লিতে ডেকে পাঠালো কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আগামী সোমবার যাবতীয় ফাইলপত্র নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যের সিবিআই অফিসারেরা। এখনও পর্যন্ত তদন্তে কী কী তথ্য উঠে এসেছে, তদন্ত কতদূর এগিয়েছে, কী ব্যবস্থা নিয়েছেন গোয়েন্দারা-এই সমস্ত বিষয়ে জানাতে হবে তাঁদের। সিবিআই ডিরেক্টর রঞ্জিত সিনহা গতকালই বলেছেন, সারদাকাণ্ডে জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাঁদের দিকে সন্দেহ তাঁদের জেরা করা হচ্ছে। যাঁরা তদন্তের কাজে অসহযোগিতা করবেন, তাঁদেরকে গ্রেফতার করবে সিবিআই।
পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বাপি করিমকে ফের ডেকে পাঠাল সিবিআই। সিবিআইকে মিথ্যে তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গতকাল বাপি করিমকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। গতকাল বাড়িতে তাঁকে আড়াই ঘণ্টা জেরা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে জেরা করা হয় টানা পাঁচ ঘণ্টা । সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, যে সমস্ত প্রশ্নের মুখে বাপিকে পড়তে হচ্ছে, তার বেশিরভাগই মন্ত্রী মদন মিত্র সম্পর্কিত। সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মন্ত্রীর সম্পর্ক নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সম্পর্কে গোয়েন্দাদের তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন বলে মনে করছে সিবিআই।