SSC Recruitment Scam: 'আমার আমলে দুর্নীতি হয়নি', দাবি এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের
কলকাতায় সুবীরেশ ভট্টাচার্য। শিলিগুড়িতে ম্যারাথন জেরার পর এবার কলকাতায় তাঁর ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
রণয় তেওয়ারি: ব্যবধান মাত্র ২৪ ঘণ্টার। শিলিগুড়িতে সিবিআইয়ের ম্যারাথন জেরার পর এবার কলকাতায় সুবীরেশ ভট্টাচার্য। বাঁশদ্রোণীতে তাঁর ফ্ল্য়াটে তল্লাশি চালালেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন? এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানের দাবি, 'পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকতে পারে। আমার আমলে কোনও দুর্নীতি হয়নি'।
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে 'দুর্নীতি'। ইডির হাতে যখন গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তখন সিবিআইয়ের জালে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ও কমিটি সদস্য় অশোক সাহা। নজরে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যও। কেন? সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করে বেশ কয়েকজন নাম পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই তালিকায় রয়েছেন সুবীরেশ। এখন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তিনি।
গতকাল, বুধবার শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ক্যাম্পাসে যান সিবিআই আধিকারিকরা। সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ক্য়াম্পাসের ভিতরেই উপাচার্যের সরকারি বাসভবন। সেখানে গিয়ে তল্লাশি চালান তদন্তকারী। জেরা করা হয় উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকেও। কতক্ষণ? ৯ ঘণ্টা। শুধু তাই নয়, সেদিন দক্ষিণ কলকাতার সুবীরেশের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছিল সিবিআইয়ের টিম। কিন্তু বাঁশদ্রোণীতে ফ্ল্য়াটটি তালাবন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। শেষপর্যন্ত ফ্ল্য়াটটি সিল করে দেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: Partha Chatterjee, SSC Scam: দুর্দশার শেষ নেই পার্থর, এবার কোপ পড়ল বেতনেও!
ঘড়িতে তখন ৫.১০ দিন। এদিন বিকেলে শিলিগুড়িতে থেকে বাঁশদ্রোণীর ফ্ল্যাটে পৌঁছন সস্ত্রীক সুবীরেশ ভট্টাচার্য। কিন্তু ফ্ল্যাটটি সিবিআই করে দেওয়ায় ভিতরে ঢুকতে পারেননি তিনি। এক প্রতিবেশীর ফ্ল্য়াটে ছিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। কিছুক্ষণ পর আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপর শুরু হয় তল্লাশি ফ্ল্যাটে। বস্তুত, সুবীবেশ ভট্টাচার্যকে নিজাম প্য়ালেসেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। সূত্রের খবর তেমনই। এদিকে এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে নিউটাউন থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ধৃতের নাম প্রদীপ সিংহ। তিনি মিডলম্যান ছিলেন বলে অভিযোগ। এদিন প্রদীপকে ৭ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। সল্টলেকে ধৃতে অফিসে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
গ্রেফতারির পর, রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। কিন্তু এখনও তিনি বিধায়ক। এবার কোপ পড়ল বেতনেও! সূত্রের খবর, ভাতা ছাড়া বিধায়কদের মাসিক বেতন ২১ হাজার ৮৭০ টাকা। কিন্তু কোনও বিধায়ক যদি পরিষদীয় কমিটি বৈঠকে যোগ দেন, সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার পর্যন্ত ভাতা পান। কিন্তু সেই টাকা পাবেন না বেহালার পশ্চিমের বিধায়ক। কেন? বিধানসভার সমস্ত পরিষদীয় কমিটি থেকেও অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়।