বয়ানে অসঙ্গতি, জুনিয়র মৃধার বাবা-মার সামনে প্রিয়াঙ্কাকে জেরা করবে CBI

অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী ও তাঁর গাড়িচালকের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

Updated By: Jan 7, 2021, 04:49 PM IST
বয়ানে অসঙ্গতি, জুনিয়র মৃধার বাবা-মার সামনে প্রিয়াঙ্কাকে জেরা করবে CBI

নিজস্ব প্রতিবেদন: জুনিয়র মৃধার বাবা-মার উপস্থিতিতে প্রিয়াঙ্কাকে জেরা করবে সিবিআই। আগামিকাল জুনিয়রের বাবা-মাকে ডাকা হয়েছে।  সিবিআই সূত্রে এমনই খবর। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী ও তাঁর গাড়িচালকের বয়ানে অসঙ্গতি রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। খুনের দিন ওই চালকের সঙ্গেই সল্টলেকের বাড়ি থেকে পার্টির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। 

চালকের বয়ান অনুযায়ী পার্টিতে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে প্রিয়াঙ্কা কারও সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সেই ব্যক্তি কে? জানতে চায় সিবিআই। অসঙ্গতিপূর্ণ বয়ান দিচ্ছে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী। সিবিআই সূত্রে এমনই খবর।  গাড়িচালক ও প্রিয়াঙ্কার এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআইয়ের।

আরও পড়ুন: জুনিয়র মৃধা খুনে ৭ দিনের CBI হেফাজত, ফের কোর্টে পেশ করা হবে প্রিয়াঙ্কাকে

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন জুনিয়র মৃধা? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য ষড়যন্ত্র?  প্রিয়াঙ্কাকে টানা জেরায় সেই রহস্যভেদেই ব্যস্ত সিবিআই। ২০১১ সালে প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে টলিউডের বেশ কয়েকজনের  সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জেরায় জানার চেষ্টা চলছে, কার কথায় সেদিন জুনিয়রকে অফিস থেকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তিনি ? অথচ প্রিয়াঙ্কা নিজে যাননি কেন? সিবিআই সূত্রে  খবর, জেরায় বিস্তর অসঙ্গতি রয়েছে। সিবিআই মনে করছে, কাউকে আড়ালের চেষ্টা করছেন প্রিয়াঙ্কা।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর তদন্তের প্রায় কিনারায় পৌঁছে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, রীতিমতো সুপারি কিলার দিয়ে খুন করা হয়েছে। রবিবার মূল অভিযুক্ত প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতারের পর গতকাল তাঁর ৭ দিনের CBI হেফাজতের কথা জানানো হয়েছে। আগামী ১২ জানুয়ারি ব্যারাকপুর কোর্টে পেশ করা হবে প্রিয়াঙ্কাকে। তবে কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়। মৃধার পরিবারের লোকের দাবি, প্রিয়াঙ্কা শুধু নন, তাঁর পাশাপাশি একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন এই খুনে। মৃধার বাবার দাবি, দোষীর উপযুক্ত শাস্তি চাই। পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে জানাচ্ছে, খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত আরও কয়েকজন। যদিও প্রিয়াঙ্কার দাবি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

২০১১ সালের ১২ জুলাই বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের উপর খুন হয়েছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জুনিয়র মৃধা। রাস্তার ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে পুলিস মনে করেছিল, হিট অ্য়ান্ড রান কেস। কিন্তু পরে পোস্টমর্টেম রিপোর্টে তাঁর মাথার পিছন দিকে বুলেট গেঁথে রয়েছে বলে দেখা যায়। তদন্ত শুরু করে বরাহনগর থানার পুলিস। এই ঘটনার পর দু-বছর কেটে গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারছিল না পুলিস। তদন্ত থমকে ছিল। জুনিয়রের পরিবার এর পরই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। আদালতের জুনিয়র মৃধার পরিবারের আর্জিতে সাড়া দেয়।

.