বর্ধমান কাণ্ড: এনআইএকে তদন্তে সাহায্য করার আবেদন জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি পাঠাচ্ছে কেন্দ্র
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে এনআইএকে সাহায্য করুক রাজ্য। এবারে এই মর্মে নবান্নে চিঠি পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। এর আগে রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে রিপোর্ট দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এবারে রাজ্যের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে রাজ্য না চাওয়ায় এখনই তদন্তভার নিজেদের হাতে নিতে পারছে না এনআইএ।
বর্ধমানকাণ্ডে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে দেওয়া রিপোর্টে রাজ্য পুলিসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছিল এনআইএ। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, তদন্তের স্বার্থে রাজ্য পুলিস যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ দিয়ে এনআইএ-কে সাহায্য করেনি। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব। রাজ্য সরকার অসহযোগিতার অভিযোগ মানতে না চাইলেও এনআইএর রিপোর্টের ভিত্তিতেই এবারে নড়ে চড়ে বসেছে কেন্দ্র। এবারে তাই এনআইকে সবরকম সাহায্য করতে বলে রাজ্যকে চিঠি দিচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
এদিকে বিস্ফোরণ কাণ্ডে এপর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। সোমবারই ধৃত হাসেম মোল্লার বারোদিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিরকুট থেকে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বরুয়ামোড়ে একটি কাপড়ের দোকানের হদিশ পান গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে দোকানটি বিস্ফোরণে নিহত বাংলাদেশের বাসিন্দা শাকিল গাজি ওরফে শাকিল আহমেদের। সেই দোকানে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে জেহাদি নথি ও পুস্তিকা। অভিযান চলেছে বীরভূম, নদীয়ার বেশ কয়েকটি জায়গাতেও।
বর্ধমানকাণ্ডের জেরে এরাজ্যের সীমান্ত সিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ঘটনার তদন্ত নিয়ে সোমবার ডিআইজি সিআইডি দময়ন্তী সেনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। বিস্ফোরণের পর নড়েচড়ে বসেছে রেল প্রশাসনও।বিভিন্ন ট্রেন ও রেলস্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করতে ডিআরএমদের নির্দেশ দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার।