চেতলায় গৃহবধূ খুনে ধৃত স্বামীর পুলিস হেফাজত
চেতলায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী সুরজিত্ পালকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চেতলায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী সুরজিত্ পালকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর আদালত।
শ্যালিকার টানেই স্ত্রীকে খুন! চেতলায় গৃহবধূ হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে, হাওড়া স্টেশন থেকে গ্রেফতার স্বামী। পুলিসি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেন সুরজিত্।
আরও পড়ুন: পাখির চোখ পঞ্চায়েত, সমবায়ে জোর মমতার
স্বামী ছোটখাটো ব্যবসায়ী। দুই ছেলে কলেজ পড়ুয়া। মা, দুই বোনও কাছাকাছি বাড়িতেই থাকেন। আপাতদৃষ্টিতে সুখের সংসার টুম্পা পালের।
কিন্তু বদলে যেতে কতক্ষণ?
খুনের নেপথ্যে উঠে আসছে ত্রিকোণ সম্পর্কের তত্ত্ব। শ্যালিকার সঙ্গে ফেসবুকে হরদম চ্যাট। ছবিতে লাইকের বন্যা। কমেন্টেও কার্পণ্য নেই। প্রেম প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল নভেম্বর থেকেই। চেতলা হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছে শ্যালিকা ও জামাইবাবুর এই প্রেমই।
আরও পড়ুন: পাবলিক টয়লেটে ২ টাকায় ন্যাপকিন, পথ দেখাচ্ছে কলকাতার প্যাডম্যান
পুলিস সূত্রে খবর, স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে অবনতির মাঝে একাধিক পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপ, ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতান টুম্পাও। দুজনের মধ্যে অশান্তি মারাত্মক আকার নেয়। তারপরই স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা। প্ল্যানমাফিক অ্যাকশনের সুযোগও মিলে যায় অবশেষে। বুধবার আলিপুর রোডের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় টুম্পা পালের রক্তাক্ত দেহ। জানা গিয়েছে, অশান্তির মাঝেই স্ত্রীর গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে চেপে ধরে সুরজিত্। শ্বাসরোধ করে মারার পরও, মৃত্যু নিশ্চিত করতে সবজি কাটার ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কোপানো হয় টুম্পাকে।