যা বলেছি আবার বলব: স্পষ্ট জবাব মুখ্যমন্ত্রীর
"আমার বক্তব্য নিয়ে অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে। আমি শুধুমাত্র বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলেছিলাম। বিচারপতিদের চোর বলিনি"। বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যা বলেছেন আবার বলবেন বলেও এদিন মহাকরণে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি।
"আমার বক্তব্য নিয়ে অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে। আমি শুধুমাত্র বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলেছিলাম। বিচারপতিদের চোর বলিনি"। বৃহস্পতিবার মহাকরণে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী যা বলেছেন আবার বলবেন বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। এদিন মহাকরণে বিচার ব্যাবস্থা নিয়ে বিধানসভায় তাঁর বক্তব্য ঘিরে বিতর্কের জবাব দিলেন তিনি।
বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিচারব্যবস্থা সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ২৪ঘণ্টা-সহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের (সংবাদপত্র ও বৈদ্যুতিন মাধ্যম) সম্পাদককে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আইনজীবী বিকাশঞ্জন ভট্টাচার্যের একটি আবেদনের ভিত্তিতে আজ এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও বিচারপতি অসীমকুমার মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ।
মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার বিধানসভায় বলেছিলেন, টাকা দিয়ে মামলার রায় কেনা যায়। বিচারবিভাগ নিয়ে এই মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে দেশজুড়ে। এর জেরেই হাইকোর্টের কাছে এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে(সুয়োমোটো) মামলা দায়ের করার আবেদন জানিয়েছিলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বক্তব্যের সমর্থনে বিচারপতিদের কাছে কয়েকটি দৈনিকে প্রকাশিত খবর ও নিউজ চ্যানেলে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজ জমা দেন তিনি৷ বিচারপতি কল্যাণজ্যোতি সেনগুপ্ত ও বিচারপতি অসীমকুমার মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ সেগুলি দেখে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টোয় প্রাথমিক শুনানির নির্ঘণ্ট জানায়। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননা মামলা করার জন্য বিকাশবাবুর আবেদনের শুনানির আগে ৩ সপ্তাহের মধ্যে ২৪ঘণ্টা-সহ সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমগুলির সম্পাদকদের আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বিচারব্যস্থা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ৩ আইনজীবী- সুব্রত মুখার্জি, দেবাশিস সাহা ও মণিরুজ্জামানের দায়ের করা একটি পৃথক মামলারও এদিন শুনানি হয় হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেল ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ ব্যাপারে মামলা রুজু করার নির্দেশ দিয়েছে অভিযোগকারী পক্ষকে। সুব্রত মুখার্জি ও তাঁর ২ সতীর্থের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে বিচারব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।