ফিনানসিয়াল হাবের শিলান্যাসে মুখ্যমন্ত্রী, পাশে নেই প্রণব
দ্বিতীয়বারের জন্য রাজারহাটে অন্তর্জাতিক ফিনানসিয়াল হাবের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই পাননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য ছাড়া দেশের কোথাও অন্তর্জাতিক ফিনানসিয়াল হাবের সাফল্যের মুখ দেখা অসম্ভব। রাজারহাটের ফিনানসিয়াল হাবের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতি হাবের ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
দ্বিতীয়বারের জন্য রাজারহাটে অন্তর্জাতিক ফিনানসিয়াল হাবের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই পাননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য ছাড়া দেশের কোথাও অন্তর্জাতিক ফিনানসিয়াল হাবের সাফল্যের মুখ দেখা অসম্ভব। রাজারহাটের ফিনানসিয়াল হাবের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতি হাবের ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে বাম জমানায় রাজারহাটে ফিনানসিয়াল হাবের শিলান্যাস করেছিলেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রণববাবু। রাজারহাটে জমি অধিগ্রহণে আপত্তি থাকায় আমন্ত্রণ পেলেও সেই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন তত্কালীন বিরোধিনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই পুরনো প্রকল্পের কাজ অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। আজ একই প্রকল্পেরই দ্বিতীয়বার শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পর আগের সরকারের একাধিক প্রকল্প ইতিমধ্যেই বাতিল করেছে নতুন সরকার। কিন্তু এক্ষেত্রে, রাজ্যের বিনিয়োগের স্বার্থে শিল্পমহলকে `ইতিবাচক বার্তা` দিতেই নির্মীয়মাণ প্রকল্পের ফের শিলান্যাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিন শিলান্যাসের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশ তথা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মানচিত্রে কলকাতার গুরুত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, "শিল্প-সাহিত্যের পাশাপাশি অর্থনৈতিক দিক থেকেও কলকাতার গুরুত্ব বাড়ানো রাজ্য সরকারের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যপূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ফিনানসিয়াল হাব।" রাজ্যে বিনিয়োগ আসছে না বলে কিছু লোক অপপ্রচার চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ফিনানসিয়াল হাবে প্রায় ২ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া ১০ লক্ষ মানুষ বসবাস করবেন সেখানে। হাবকে কেন্দ্র করে মোট ১ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই একটি ভবন সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে আছে। বিনিয়োগকারীরা চাইলেই সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।"
তবে ফিনানসিয়াল হাবের মতো বড়সড় সুসংগঠিত এলাকা ছাড়া যে রাজ্যের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি সম্ভব নয়, তা বুঝেই ক্ষমতায় আসার পর রাজারহাটে ফিনানসিয়াল হাব নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থান বদল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।