Mamata Banerjee: 'হিমঘর থেকে ৫০ শতাংশ আলু বের করুন', টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
নবান্নে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে রাজ্যে মূল্য়বৃদ্ধি নিয়ে সরব হন তিনি। জানতে চান, 'মাছের উৎপাদন বাড়ছে না কেন'?
সুতপা সেন: 'যা আসবে, বেচে দাও'। মূল্যবৃদ্ধি কমাতে এবার হিমঘর থেকে আলু বের করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কতটা? পঞ্চাশ শতাংশ। নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠকে হুঁশিয়ারি দিলেন, 'না হলে সুফল বাংলায় সস্তায় আলু বিক্রি করে দেব। চাষিরা তো দামটা পাচ্ছেন না। চাষিরা যাতে দাম পান, সেটা আমাকে দেখতে হবে'। সঙ্গে ঘোষণা, 'সার কারখানার জন্য জমি দেব'।
রাজ্যে পারদ পতন অব্যাহত। আরও বাড়বে ঠান্ডা! শীতের সবজির দাম এখনও পর্যন্ত মধ্যবিত্তের নাগালেই রয়েছে। বস্তুত,আগামী সপ্তাহ থেকে যখন সবজির দাম আরও কমতে পারে, তখন চিন্তা বাড়াচ্ছে আলু। পাঁচ শতাংশ চন্দ্রমুখী, আর ৯৫ শতাংশ জ্যোতি। এ রাজ্যে আলুর বার্ষিক উৎপাদন ১ কোটি ১৪ লক্ষ টন। রাজ্যে চালুর চাহিদা বছরে ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন। বীজতলা হিসেবে সংরক্ষণ করা হয় আরও ১৫ মেট্রিক টন। বাকিটা রফতানি রফতানি করা হয় ভিনরাজ্যে। কিন্তু এবছর আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে।
আরও পড়ুন: 'আজ বা কাল, ১০ লাখ পড়ুয়াকে ১০ হাজার টাকা,' ঘোষণা মমতার
এদিন নবান্নে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ, 'কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বের করুন। গরিব মানুষগুলি আলুসেদ্ধ ভাত খায়। অর্ধেক আলু বের করুন। সাধারণ মানুষের জন্য কম দামে আলু দিতে হবে। কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে না, সব টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। আমি সার কারখানার জন্য জমি দেব'। জানতে চান, 'মাছের উৎপাদন বাড়ছে না কেন'? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'ডিমের উৎপাদন বাড়াতে হবে। চিকেনের দামটা বেশি আছে। চিকেনের দাম কমানোর ব্যবস্থা করুন'।
জানা গিয়েছে, হিমঘর থেকে আলু বাজারজাত করার শেষদিন ছিল ৩০ নভেম্বর। কিন্তু হিমঘরে এখনও মজুত রয়েছে ২৫ লক্ষ মেট্রিক আলু। যা মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা সম্ভব নয় কোনওভাবেই। এমনকী, যদি মেয়াদ বাড়ানোও হয়, সেক্ষেত্রে সর্বাধিক ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরনো আলু হিমঘরে রাখা যাবে। কারণ, তারপর নতুন আলু চলে আসবে।