Mamata Banerjee: ভাঙড় থানাকে এবার কলকাতা পুলিসের আওতায় আনার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর...
ভাঙড়ের লাগাতার অশান্তিতে বিরক্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য় পুলিসের ডিজিকেও ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি।
সুতপা সেন: লাগাতার অশান্তির জের। ভাঙড় থানাকে এবার কলকাতা পুলিসের আওতায় আনার ভাবনা। পুলিস কমিশনারকে প্রস্তাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল রাজ্য পুলিসের ডিজিকে।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari: দিল্লিতে শাহের সঙ্গে বৈঠক; 'পশ্চিমবঙ্গের মানুষ পরিত্রাণ পাবেন', বললেন শুভেন্দু
মনোনয়ন থেকে ভোটগণনা। পঞ্চায়েত ভোট পর্বে বারবার অশান্তির শিকার ভাঙড়। যে ভোটগণনা হয়, সেদিন রাতে পুলিসের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ISF সমর্থকরা। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়তে থাকে এলাকায়! গুলিবিদ্ধ হন খোদ অতিরিক্ত পুলিস সুপার মাখসুদ হাসান ও তাঁর দেহরক্ষী।
এর আগে, মনোনয়নের সময়েও কার্যত রোজই অশান্তি হয় ভাঙড়ে। পরিস্থিতি চরম আকার নেয় শেষদিনে। ভাঙড়ে ২ নম্বর বিডিও অফিসের সামনে মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ে। সঙ্গে গুলি! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ২। একজন ISF কর্মী, আর একজন তৃণমূলকর্মী। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও বেশ কয়েকজন।
কেন লাগাতার অশান্তি ভাঙড়ে? রীতিমতো বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত ভোটের পর, এদিন আলিপুর বডিগার্ড লাইনসে পুলিসকর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল ও রাজ্য পুলিসের ডিজি মনোজ মালব্য। পুলিস কমিশনারকে ভাঙড় থানাকে কলকাতা পুলিসের আওতায় আনার প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন কারণে রাজ্য পুলিসের আওতায় থাকা একাধিক থানাকে কলকাতা পুলিসের অধীনে আনা হয়েছে আগেও। বস্তুত, ভাঙড় বিধানসভা এলাকার বানতলা লেদার কমপ্লেক্স থানাটিও এখন কলকাতা পুলিসের অধীনে। সেই তালিকায় এবার জুড়তে চলেছে ভাঙড় থানাও।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: সাঁড়াশি চাপে মানিক; পোস্টিং দুর্নীতিকাণ্ডে ফের জেরা, প্রেসিডেন্সি জেলে সিবিআই
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'চমৎকার! একে মা মনসা, তারপর ধুনোর গন্ধ! বাংলার পুলিস সমস্ত প্রতিরোধকে, তৃণমূল বিরোধী শক্তিকে মেরে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। এবার কলকাতা পুলিসকে দিয়ে দিল। সাঁড়াশি আক্রমণ হবে বিরোধীদের উপরে'। তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার অবশ্য দাবি, 'ISF জয়লাভের পর থেকে ওখানে অশান্তি শুরু করে। গুন্ডাবাহিনী, বোমা মজুত করা, গুলি। সেক্ষেত্রে যদি এলাকা শান্ত করতে হয়, রাজ্য প্রশাসনের সম্পূর্ণ দায়িত্ব আছে। তারা যেটা ঠিক করবে, সেখানে সহযোগিতা করা উচিত সকলের'।