মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে সিপি রাজীব কুমারও

সিপির বাড়িতেই শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Feb 3, 2019, 09:20 PM IST
মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী, সঙ্গে সিপি রাজীব কুমারও

নিজস্ব প্রতিবেদন : মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস সহ তৃণমূলের অন্য নেতারাও। কলকাতা পুলিসের আউটপোস্টে খোলা আকাশের নীচে ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা ফেলা হয়েছে এলাকা। আউটপোস্টের সামনে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী মঞ্চ।

সিপির বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে গণতন্ত্র বাঁচাতে তিনি ধরনায় বসবেন। সিপির বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে আগেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। সত্যাগ্রহের ডাক দেন তিনি। আর তারপরই সোজা মেট্রো চ্যানেলে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে শেক্সপীয়র সরণি থানায় যান কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার। সেখান থেকেই তিনি সরাসরি চলে যান মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। 

রবিবার সন্ধেয় ডিএসপি তথাগত বর্ধনেরর নেতৃত্বে এদিন ৪০ জনের সিবিআই টিম কথা বলতে যায় লাউডন স্ট্রিটে পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে।  তল্লাশি করারও কথা ছিল। কিন্তু আগাম জানতে পেরে  পুলিস কমিশনারের বাড়ির সামনে জড় হন পুলিস কর্মীরা। বাধা দেওয়া হয় সিবিআই কর্তাদের। স্থানীয় থানায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  এরপরই পারদ চড়তে শুরু করে।

সিবিআই অফিসারদের বলা হয়, আপনারা থানায় যান। সেখানে নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সমস্ত নথি সিবিআই-এর হাতে রয়েছে কি না, কলকাতা পুলিস নিশ্চিত হতে চায়। এরপরই সিবিআইয়ের একটি দল শেক্সপিয়র থানায় যায়। আর একটি দল দাঁড়িয়ে থাকে রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে। সিবিআই ডিএসপি তথাগত বর্ধন কথাবার্তা চালাতে থাকেন পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে। সিবিআই কর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে কাজ তাঁরা করতে এসেছেন, সেটা সম্পূর্ণ করেই যাবেন। তাঁরা নিয়ম মেনেই এসেছেন। যদিও, সিবিআই আধিকারিকদের কাছে কোনও কাগজ ছিল না বলেই খবর।

আরও পড়ুন, "মমতাজি স্বীকার করুন আপনি প্রশাসনের অপব্যবহার করবেন না", ফোনে হুঁশিয়ারি যোগীর

এরপরই রাস্তার উপর ধস্তাধস্তি, মারপিট বেঁধে যায় কলকাতা পুলিস ও সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে । নো এন্ট্রি করে দেওয়া হয় লাউডন স্ট্রিট। তারপরই সিবিআই কর্তাদের আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপীয়ার থানায়। সিবিআই কর্তাদের টেনে হেঁচড়ে তোলা হয় গাড়িতে। গাড়ির ড্রাইভারকেও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিসের কর্মী-ই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায়।

সিবিআই হানার খবর পেয়েই সিপির বাড়িতে এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপির বাড়িতে এসে পৌঁছন কলকাতা পুলিসের সমস্ত পদস্থ কর্তারাও। পৌঁছন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। সিপির বাড়িতেই শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, পাল্টা সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করে কলকাতা পুলিস। ঘেরাও করা হয় নিজাম প্যালেস। জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের বাড়িও ঘেরাও করা হয়। এককথায় সিবিআই-এর বিরুদ্ধে অল-আউট অ্যাটাকে নামে কলকাতা পুলিস।

.