বাড়ছে আবদার, সিপিএমের গতবারের জেতা আসন চাইছে কংগ্রেস
রায়গঞ্জ আসনটি ছাড়তে নারাজ দীপা দাশমুন্সি।
মৌমিতা চক্রবর্তী
সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে দর কষাকষি অব্যাহত রেখেছে কংগ্রেস। বুধবার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে দলীয় নেতাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদ আসন ছাড়া হবে না। কংগ্রেসের শর্ত মানলে গতবারের জেতা আসনও ছাড়তে হবে সিপিএমকে।
গতসপ্তাহে শরিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল সিপিএম। ওই বৈঠকে আসন সমঝোতার অঙ্ক স্থির করে আলিমুদ্দিন। গতবারের জেতা আসনগুলিতে প্রার্থী দেবে সিপিএম ও কংগ্রেস। আর বাকিগুলিতে দ্বিতীয় স্থানের দল লড়াই করবে। কিন্তু সেই সিপিএমের এহেন সমাধানসূত্র মানতে নারাজ কংগ্রেস। এদিন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রায়গঞ্জ, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদ হাতছাড়া করা হবে না।
রায়গঞ্জ আসনটি ছাড়তে নারাজ দীপা দাশমুন্সি। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ওই আসনটি জিতেছিলেন সিপিএমের মহম্মদ সেলিম। সেক্ষেত্রে ওই আসনটি সেলিমের প্রাপ্য। কিন্তু কংগ্রেসের যুক্তি, রায়গঞ্জে মাত্র দেড়হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন সিপিএম সাংসদ। ৫ বছর আগের অবস্থা আর সিপিএমের নেই। বরং রায়গঞ্জে এখনও অটুট প্রিয়রঞ্জনের আবেগ। এর পাশাপাশি পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদেও কংগ্রেসের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। গতবার মুর্শিদাবাদ থেকে জিতেছিলেন সিপিএমের বদরুদ্দোজা খান। সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদে আবু হেনা ও পুরুলিয়ায় নেপাল মাহাতোকে প্রার্থী করার ভাবনাচিন্তা চলছে।
সূত্রের খবর, শরিকরা জেদ ধরে থাকায় ফরওয়ার্ড ব্লক, সিপিআই ও আরএসপি-কে ৩টি করে আসন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিএম। ২০টি আসনে লড়বে তারা। বাকি ১৩টি ছাড়া হবে কংগ্রেস। সিপিএম যখন জোট করতে মরিয়া, তখন নাছোড় মনোভাব কংগ্রেস নেতাদের। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, শরিকি দ্বন্দ্ব সিপিএমকেই মেটাতে হবে। তবে সম্মানজনক আসন না পেলে ৪২টি আসনেই প্রার্থী দিয়ে দেবে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- নিরাপদে বিমান চালককে মুক্তি দেওয়া হোক, পাকিস্তানকে চাপ ভারতের
গত কয়েকদিনের ঘটনাক্রমে বাম-কংগ্রেস জোটের ছবিটা ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে উঠছে। কংগ্রেসের দাবি মানতে গেলে জেতা আসনও ছাড়তে হচ্ছে সিপিএম। এতটা আপোষ করে কি আদৌ জোট করবে আলিমুদ্দিন?