রণজিতের পদত্যাগের পর এলপিজি কেলেঙ্কারির ভূত বিজেপির অন্দরে

অতিসম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ওদের হাতে সিবিআই রয়েছে। কিন্তু তাঁর কাছে সিআইডি। 

Updated By: Feb 27, 2019, 07:24 PM IST
রণজিতের পদত্যাগের পর এলপিজি কেলেঙ্কারির ভূত বিজেপির অন্দরে

অঞ্জন রায়

বিজেপি থেকে পদত্যাগ করলেন এলপিজি দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত রণজিত্ মজুমদার। দলের সভাপতি ও সাংগঠনিক সভাপতিকে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। আর তিনি ইস্তফা দেওয়ার পরই দলের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা, কেন হঠাত্ করে পদত্যাগ? একটা উত্কণ্ঠাও রয়েছে, এলপিজি কেলেঙ্কারিতে কি বিজেপি নেতাদের নাম ফাঁস করে দেবেন রণজিত্ মজুমদার। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি বিজেপি।  

অতিসম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, ওদের হাতে সিবিআই রয়েছে। কিন্তু তাঁর কাছে সিআইডি। শিশুচুরি থেকে এলপিজি কেলেঙ্কারি- বিজেপি নেতাদের ফাইল তাঁর হাতে। তার আগেই এলপিজি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে রণজিত্ মজুমদারকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। পরে জামিনে ছাড়াও পান। এরপর তাঁর নাম তেমন শোনা যায়নি। আবার খবরে ভেসে উঠলেন রণজিত্ মজুমদার। ১৯৭১ সালে আরএসএসের সঙ্গে যুক্ত হন। দীর্ঘ কয়েক দশক দল ও আরএসএসের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। সেই রণজিত্ মজুমদারই দল থেকে ইস্তফা দিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে আলাদা চিঠি দিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, রণজিত্ মজুমদারের পদত্যাগপত্র এখনও গৃহীত হয়নি।   

রণজিত্ মজুমদারের ইস্তফার ব্যাপারটি অতি সাধারণ মনে হলেও নাড়িয়ে দিয়েছে বিজেপির অন্দরমহল। নেতারা খোঁজখবর নিতে শুরু করে দিয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপে গোপন কথাও চালাচালি চলছে। কেন? এলপিজি কেলেঙ্কারিতে বিজেপির একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্যের পুলিস। দলের সঙ্গে রণজিত্ মজুমদার যুক্ত না থাকলে আরও অনেকের নাম ফাঁস করে দিতে পারেন তিনি। অথবা সাক্ষ্যপ্রমাণও তুলে দিতে পারেন পুলিসের কাছে।

আরও পড়ুন- বায়ুসেনার নিখুঁত সাফাই অভিযানে কত টাকা খরচ?

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে রণজিত্ বাবু বলেন, ''আমার বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পুলিসের কাছে নেই। অথচ অভিযোগের ভিত্তিতে আমার বদনাম হয়েছে। সত্যিই কেউ দুর্নীতি থাকলে ধরা হোক। আমি সহযোগিতা করব''। রণজিত্ বাবুর কথায় একটা অস্পষ্ট ইঙ্গিত তো থাকছেই। তাহলে কি অসময়ে দল পাশে না দাঁড়ানোয় এবার পর্দাফাঁস করে দেবেন রণজিত্ মজুমদার। আর কথাতেই তো আছে 'আপনি বাঁচলে বাপের নাম'। রণজিত্ মজুমদারের সাক্ষ্য অবলম্বন করে বিজেপির কয়েকজন নেতাকে জেলে ঘানি টানাতে পারলে অ্যাডভান্টেজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর রাঘবোয়ালরা জড়িয়ে গেলে তো কথাই নেই! মমতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হওয়া তো দূর, নেতাদের বাঁচাতেই প্রাণ হাঁসফাঁস হয়ে যাবে ৬ মুরলিধর সেন লেনের।

.